প্রযুক্তি জানার দরকার আছে। সেই সাথে জানতে হবে আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যকেও। মনোবিজ্ঞান, সাহিত্য, সংস্কৃতি প্রত্যেকে সমান ভাবে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধু এমন একজন নেতা ছিলেন, যার ভেতর সব বিষয়ের শিক্ষা ছিলো। তিনি যেমন কবিদের বুঝতেন তেমনি বুঝতের সংস্কৃতি কর্মীদেরকেও। যাকে যেখানে মূল্যায় করা দরকার তিনি সেটা ভালোভাবেই করতে। গতকাল বগুড়ার সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সভাপতি, স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত এবং বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফোকলোরবিদ বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। তিনি বলেন, অত্যন্ত পবিত্র কাজ করতে এসেছি এ কলেজে।
যে অসাধরণ সংগ্রামের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতীয় স্বাধীনতার অমর নায়কে পরিণত হয়েছেন, তাঁর নামে একটি সমৃদ্ধ কর্নার উদ্বোধন করলাম, যা বাংলাদেশে আমার জানামতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবে বঙ্গবন্ধু সংগ্রহশালা হিসেবে। এসময় শান্তির প্রতীক পায়রা ও ফেস্টুন উড়িয়ে এবং ফিতা কেটে এপিটাক উন্মোচন করা হয়। জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা, উত্তরীয় প্রদান, সম্মাননা স্মারক ও প্রীতি উপহার প্রদান করেন কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ মহোদয়। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন অনুষ্ঠান উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মোছা: হাসিনা আখতার। শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক দেবদুলাল দাস কলেজের সকল শিক্ষককে সার্বিক দায়িত্ব পালন ও সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. বেল্লাল হোসেন প্রধান অতিথিকে পেয়ে সবিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, এই কলেজের নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার শুধু উত্তরাঞ্চলে নয় দেশের অন্যতম একটি সমৃদ্ধ কর্নার। এই কর্নার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মহান ব্যক্তিদের পাশে পেয়ে তিনি নিজেকে ধন্য মনে করেছে। এ বছর থেকে প্রবর্তিত কলেজ অ্যাওয়ার্ড সম্মাননা স্মারক ও সনদ লাভ করেন কলেজের প্রাক্তন কৃতী শিক্ষার্থী ও শিক্ষা ক্যাডারের সফল কর্মকর্তা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক জোহরা ওয়াহিদা রহমান। তিনি প্রধান অতিথিকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং কলেজে শিক্ষার পরিবেশ আরও সমৃদ্ধ করার জন্য যা যা করণীয় সব করবেন বলে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন ও সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন ইংরেজি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন।