আটলান্টিক মহাসাগরে অভিবাসীপূর্ণ একটি নৌকাডুবির ঘটনায় নারী ও শিশু সহ অন্তত ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। এদের বেশির ভাগই গাম্বিয়ার নাগরিক। বৃহসপতিবার পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মৌরিতানিয়ার উপকূলে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় নৌকাটিতে অন্তত ১৫০ জন আরোহী ছিলেন। গত ২৭শে নভেম্বর গাম্বিয়া থেকে যাত্রা শুরু করে নৌকাটি। বৃহসপতিবার জ্বালানি শেষের দিকে থাকায় সেটি মৌরিতানিয়ার দিকে এগুচ্ছিল।
তবে তীরের কাছাকাছি আসার আগেই নৌকাটি ডুবে যায়। ৮৩ জন অভিবাসী সাঁতরে তীরে পৌঁছান। তাদের সাহায্যে এগিয়ে গেছে মৌরিতানিয়া কর্তৃপক্ষ। চলতি শতকে পশ্চিম আফ্রিকা থেকে ইউরোপের পথে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রাণঘাতী নৌকাডুবির ঘটনা। আইওএমের মুখপাত্র লিওনার্ড ডয়েল জানান, ডুবে যাওয়া নৌকাটি সমুদ্রে যাত্রা করার উপযুক্ত ছিল না। এতে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি মানুষ অবস্থান করছিল। তিনি বলেন, এই ঘটনা মানবপাচারকারীদের অনুভূতিহীনতার প্রমাণ দেয়। তারা নিশ্চিতভাবেই অর্থ নিয়ে পালিয়ে গেছে। একটু উন্নত জীবনের আশায় থাকা মানুষদের ব্যবহার করছে তারা। আল জাজিরার স্থানীয় প্রতিবেদক জানান, সামরিক পুলিশ জীবিতদের উদ্ধার করেছে। তাদের বেশির ভাগই গাম্বিয়ার নাগরিক। খুব সম্ভবত তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। দুর্ঘটনাটি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি গাম্বিয়া কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ডয়েল জানান, দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা তীব্র আতঙ্কে রয়েছে। তাদের স্বাস্থ্যসেবা দরকার। আমাদের কর্মীরা তাদের আদিনিবাস খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। তাদের সম্মানের সঙ্গে সেখানে ফেরত পাঠানো হবে। পুরো ঘটনায় সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার হচ্ছে, পশ্চিম আফ্রিকা থেকে এই পথে যাত্রা করা ব্যক্তিদের জন্য কোনো সুখের সমাধান নেই।
প্রসঙ্গত, আয়তনের দিক দিয়ে ছোট হলেও গাম্বিয়া থেকে প্রতি বছরই ইউরোপে যাত্রা করে কয়েক হাজার মানুষ। আইওএম অনুসারে, ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ৩৫ হাজার গাম্বিয়ান অভিবাসনপ্রত্যাশী ইউরোপ পৌঁছেছে।