× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

লম্পট পিতার কাণ্ড

বাংলারজমিন

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
৬ ডিসেম্বর ২০১৯, শুক্রবার

মৌলভীবাজার কমলগঞ্জে জন্মদাতা পিতার লালসার শিকার হলো ১২ বছরের এক শিশুকন্যা। বুধবার ভোররাতে কমলগঞ্জের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা উত্তর কাঁঠালকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিশুটির লম্পট বাবা আফাজুলকে বুধবার রাতে আটক করেছে পুলিশ। পরিবারের সদস্য ও পুলিশ জানায়, কমলগঞ্জের ইসলামপুর ইউনিয়নের উত্তর কাঁঠালকান্দি গ্রামের ইন্তাজ মিয়ার ছেলে আফাজুল ইসলাম বিয়ে করেন আদমপুর ইউনিয়নের উত্তরভাগ গ্রামের রাতিব উল্লার মেয়ে শেফালী বেগমকে। তাদের সংসারে এক প্রতিবন্ধী কন্যাসহ তিন কন্যা সন্তান রয়েছে। বাড়িতে তিন কন্যাকে রেখে গৃহকর্মী হিসেবে ওমান রাষ্ট্রে পাড়ি জমান শেফালী বেগম। তারপর থেকে তিন কন্যা নিয়ে বসবাস করছিলেন আফাজুল। বুধবার ভোররাতে আফাজুল তার দ্বিতীয় মেয়েকে ধর্ষণ করে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে শিশুটি বিষয়টি তার বাড়ির লোকজনকে জানায়। এ সময় শিশুটি ছিল রক্তাক্ত। ঘটনাটি চাপা দিতে পরিবারের লোকজন তৎপর হয়ে ওঠে। বেলা বাড়ার আগেই শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় তার নানা বাড়ি উত্তরভাগ গ্রামে। বিষয়টি জানার পর তৎপর হয়ে উঠে কমলগঞ্জ থানার পুলিশ। বিকালেই কমলগঞ্জ থানার এএসআই আনিসুর রহমান ও রিপন সকারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অসুস্থ অবস্থায় ধর্ষিতা শিশুটিকে উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় লম্পট বাবা আফাজুলকে আটক করে পুলিশ। পরে রাতে শিশুটির নানা রাতিব উল্লাহ বাদী হয়ে মেয়ের জামাতা লম্পট আফাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কমলগঞ্জ থানায় মামলা করেন। কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটক আফাজুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর