× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অর্থমন্ত্রী ১১ মাস কী করলেন, প্রশ্ন এফবিসিসিআই সভাপতির

বাংলারজমিন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
৬ ডিসেম্বর ২০১৯, শুক্রবার

ব্যবসায় প্রতিবন্ধকতা দূর করতে না পারায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। এ ছাড়া অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার ১১ মাস পার হয়ে গেলেও এখনও সুদের হার না কমায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। গতকাল রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) তিন দিনব্যাপী সিরামিক এক্সপো বাংলাদেশ-২০১৯ উদ্বোধনীতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বর্তমান অর্থমন্ত্রী দায়িত্ব নেয়ার ১১ মাস পরে এসে বলছেন, বাংলাদেশে সুদের হার এত বেশি যে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারছেন না। ১১ মাস উনি কি হাইবারনেশনে (শীত নিদ্রা) ছিলেন। আমাদের প্রশ্ন এই ১১ মাস উনি কী করলেন ব্যাংকিং সেক্টরের পুনর্গঠনের ব্যাপারে।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, যখন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এই উদ্বেগের কথাগুলো উঠে আসছে, তখনই উনি বক্তব্য দিলেন। হয়তো আবার পরবর্তী ছয়মাস শীত নিদ্রায় চলে যাবেন।
এগুলো দুঃখজনক। আমরা মনে করি এই প্রতিবন্ধকতাগুলো কাটিয়ে উঠতে হলে সম্মিলিতভাবে চ্যালেঞ্জেস গ্রো করতে হবে।
এনবিআরের সহযোগিতার ঘাটতি এবং পেশাগত অযোগ্যতা খুবই দৃশ্যমান উল্লেখ করেছেন এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি সিরামিক এক্সপোর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান অনুপুস্থিত থাকায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, তবে প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের অসম্ভব সম্মান দেন। প্রধানমন্ত্রীর যারা টিম মেম্বার আছেন (পলিটিক্যাল লিডারশিপ, গভর্নমেন্ট লিডারশিপ) উনারা না চাইলেও সম্মান দিতে হয় প্রধানমন্ত্রীর কারণে। কিন্তু বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট যেভাবে ব্যবসায়ীদের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে, এটা বাংলাদেশের সামনের দিকে আগানোর বাধা সৃষ্টি করার শামিল বলে আমি মনে করি।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ১২ থেকে ১৪ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারে না। এত সুদ হলে একটার পর একটা ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাবে। ঋণ খেলাপির সংখ্যা বাড়বে। এ বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী ব্যাংক ঋণে সুদহার এক অংকে নামিয়ে আনার নির্দেশ দিলেন। এ জন্য ব্যাংকারদের নানা সুবিধা দেয়া হলো। ব্যাংকররা সুবিধাটা পুরোপুরি নিল। কিন্তু এক বছর পার হয়ে গেলেও সুদহার এক অংকে আনল না। তিনি বলেন, এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীও অনেকবার তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো প্রাইভেট ব্যাংক সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে আনেনি। আমাদের দেশ পৃথিবীর ব্যতিক্রমই দেশ, যেখানে স্প্রেড অনেক হাই। অন্যান্য দেশে যেখানে স্প্রেড আড়াই থেকে তিন। আমাদের দেশে এটা ৬ শতাংশরও ওপরে। যেটা হওয়া উচিত নয়। আমি অর্থমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকি, আর অর্থমন্ত্রী আমার দিকে তাকিয়ে থাকেন। সুদহার এক অংকে নামিয়ে না আনলে কোনো ব্যবসা করা যাবে না। অন্তত জেনুইন ব্যবসা করা যাবে না। অন্য কিছু করা গেলে যাবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী দর্শনার্থী ও ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। এক্সপোতে একই ছাদের নিচে থাকছে ২০টি দেশের মোট ১২০টি প্রতিষ্ঠান ও ১৫০টি ব্র্যান্ড। এছাড়া অংশ নিয়েছেন ৩০০ আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি ও ৫০০ জন বায়ার্স হোস্ট।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর