× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভারতে এনকাউন্টারে ৪ ধর্ষকের মৃত্যু

দেশ বিদেশ

কলকাতা প্রতিনিধি
৭ ডিসেম্বর ২০১৯, শনিবার

ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদের তরুণী পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণের ঘটনায় যুক্ত চার অভিযুক্তের শুক্রবার ভোরে এনকাউন্টারে মৃত্যুর ঘটনায় ভারতজুড়ে তোলপাড় চলছে। একদিকে পুলিশের ভূমিকায় প্রশংসা করছেন অনেক মানুষ। তেলেঙ্গানা পুলিশের ওপর পুষ্পবৃষ্টি ও রাখিবন্ধনের মতো ঘটনা ঘটেছে। সংসদেও বহু সাংসদ এনকাউন্টারের পক্ষেই মত জানিয়েছেন। অন্যদিকে এভাবে আইন হাতে তুলে নেয়া কতটা যুক্তিযুক্ত, সে প্রশ্ন তুলে সোচ্চার হয়েছেন মানুষের একাংশ। এই বিচারব্যবস্থার অস্তিত্বকেই চ্যালেঞ্জ করছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। তবে এনকাউন্টারে ধর্ষকদের মৃত্যুর ঘটনায় ধর্ষিত তরুণীর পরিবার খুশি হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তরুণীর পিতা বলেছেন, ১০ দিন হলো আমার মেয়ে মারা গেছে।
পুলিশ এবং সরকারকে কৃতজ্ঞতা জানাই। মেয়ের আত্মা এখন অবশ্যই শান্তি পেয়েছে। জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান রেখা শর্মাও বলেছেন, পুলিশ ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এটা তো তদন্তাধীন বিষয়। বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে অপরাধীদের দ্রুত শাস্তি চেয়েছিলাম। অবশ্য ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ তা তারিফযোগ্য। মহিলা কমিশন এ কথা বললেও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বত//প্রণোদিত হয়ে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনার সমালোচনা করে বলেছেন, এভাবে আইন হাতে তুলে নেয়া যায় না। দ্রুত চার্জশিট দিয়ে অভিযুক্তদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। মোদি সরকারের পক্ষ থেকে সতর্ক মন্তব্য করা হয়েছে। তবে বিজেপি সাংসদ মেনকা গান্ধী এনকাউন্টারের নিন্দা করে বলেছেন, যা হয়েছে তা এই দেশের জন্য ভয়ানক। চাইলেই যাকে খুশি এভাবে মারতে পারেন না আপনি। আইন হাতে তুলে নিতে পারেন না। আদালতে তো ওদের (অভিযুক্তদের) ফাঁসিই হতো। আবার বিজেপির আরেক সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, এতে মেয়েটির আত্মা শান্তি পেয়েছে। এত বড় জঘন্য ঘটনার পর ওরা পালানোর চেষ্টা করেছে। তাতে এনকাউন্টারে নিহত হয়েছে। আমি পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই। লকেট চট্টোপাধ্যায় পুলিশি তৎপরতার প্রশংসা করলেও গোটা বিষয়টি যে তদন্তসাপেক্ষ সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন। সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, বিচারব্যবস্থার বাইরে গিয়ে খুনের ঘটনা কখনো নারীদের সুরক্ষা প্রশ্নের সমাধান হতে পারে না। একই সুর শোনা গিয়েছে সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিনের কথায়। তিনি বলেছেন, অপরাধীদের মেরে ফেলাটা সোজা। তবে মানুষকে এমন ভাবে শিক্ষিত করা উচিত যাতে তারা কখনই অপরাধী হয়ে উঠবেন না, এটা একেবারেই সোজা নয়। আমরা সোজা পন্থাটাই পছন্দ করি। উল্লেখ্য, গত ২৭শে নভেম্বর হায়দরাবাদের শামশাবাদে এক তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে খুন করে চার অভিযুক্ত। এরপর ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে সাদনগরে পুড়িয়ে ফেলা হয় ওই তরুণীর দেহ। এদিন গভীর রাতে ওই ঘটনার পুনর্নিমাণ করতে অভিযুক্তদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশের দাবি, সে সময় তাদের অস্ত্র ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। আত্মরক্ষার্থে তাদের গুলি করে মারা হয়েছে বলে সায়েবরাবাদের পুলিশ কমিশনার ভি সি সজ্জান দাবি করেছেন। এদিকে ‘পকসো’ আইনের আওতায় থাকা ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্তদের ক্ষমাপ্রার্থনার কোনো অধিকারই থাকা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। রাজস্থানের সিরোহিতে শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে মহিলাদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, এ ব্যাপারে ক্ষমাপ্রার্থনার অধিকার সংক্রান্ত যে আইন রয়েছে, সংসদের তা খতিয়ে দেখা উচিত। সেইসঙ্গে তিনি বলেছেন, মহিলাদের নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিতে হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর