× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিপিএল-এ বিশ্বকাপের ভাবনা মিঠুনের

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
৭ ডিসেম্বর ২০১৯, শনিবার

দরজায় কড়া নাড়ছে বিপিএল-২০১৯। ১১ই ডিসেম্বর শুরু হবে বাংলাদেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লীগের সবচেয়ে বড় আসর। এবার সিলেট থান্ডারের হয়ে খেলবেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোহাম্মদ মিঠুন। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান মিঠুন এবারের বিপিএলকে ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি মঞ্চ হিসেবে দেখছেন। যেখানে ভালো করার লক্ষ্য তার। গতকাল সংবাদমাধ্যমকে মিঠুন বলেন, ‘বিপিএল আসর আমাদের প্রস্তুতিতে খুব সাহায্য করে। কারণ আমরা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খুব কম খেলি। বিপিএল ছাড়া আর তেমন একটা খেলা হয় না।
আমার লক্ষ্য থাকবে নিজের সেরাটা দিয়ে দলের প্রত্যাশা পূরণ করা। যত বেশি রান করতে পারি সেই চেষ্টাই থাকবে।’
এবারের বিপিএলে বিদেশি খেলোয়াড়ের কোটা কমেছে। এক দলে সর্বোচ্চ ৬ জন বিদেশি থাকবেন। আর একাদশে খেলতে পারবেন সর্বোচ্চ ৪ বিদেশি। ফলে দেশি ক্রিকেটারদের ওপর দায়িত্ব বেশি থাকবে। বিষয়টা ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন মিঠুন। টপঅর্ডার এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য একটা বড় সুযোগ। অন্যবার প্রতি দলে বিদেশি তারকা ক্রিকেটার থাকে বেশি। ফলে দেশিরা সেভাবে নিজেদের মেলে ধরার সুযোগ পায় না। এবার দেশি খেলোয়াড়দের সুযোগ কাজে লাগানোর বড় সময় এসেছে।’
কম খরচে ভালো দল গড়েছে সিলেট থান্ডার। তবে ৭ দলের মধ্যে দেশি ক্রিকেটারদের পেছনে তারাই সবচেয়ে বেশি খরচ করেছে। সিলেট থান্ডারের ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার মধ্যে দেশি খেলোয়াড়দের পেছনে খরচ ১ কোটি ৪৮ লাখ। মিঠুনের সঙ্গে মোসাদ্দেক হোসেন, নাজমুল অপু, সোহাগ গাজী, নাঈম হাসান, দেলোয়াড় হোসেন, মনির হোসেন খান ও রুবেল মিয়াকে দলে ভেড়ায় তারা। বিদেশিদের মধ্যে রয়েছেন শেরফান রাদারফোর্ড, শফিকুল্লাহ শাফাক, নাভীন উল হক, জীবন মেন্ডিস ও মোহাম্মদ সামি। পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ সামিকে সিলেট নিয়েছেন ড্রাফটের বাইরে থেকে।
নিজ দল নিয়ে আশাবাদী মিঠুন। তিনি বলেন, ‘খাতা-কলমে তারকা ক্রিকেটার নিয়ে গড়া দলের ওপর চাপটাও বেশি থাকে। আমাদের দলটা যেহেতু সেরকম না তাই সবাই এখানে সমান। সবাই চাইবে নিজের সেরাটা দিতে। আমার মনে হয় টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই মোমেন্টাম ধরতে পারতে এই দলও ভালো কিছু কররেত পারবে।’
বিপিএলেই সব মনোযোগ সানির
ইনজুরির কারণে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন আরাফাত সানি। এরপর আর জাতীয় দলে দেখা যায়নি। ভারতের সফর সামনে রেখে আবার দলে ফেরেন এই বাঁহাতি স্পিনার। খেলার সুযোগ হয়নি তিন ম্যাচের একটিতেও। সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তবে সানির ভাবনায় এখন কেবল বিপিএল। রংপুর রেঞ্জার্সের এই ক্রিকেটার গতকাল বলেন, ‘অনেকদিন পর দলে ফিরেছি। কিন্তু আমার মূল লক্ষ্য এখন বিপিএল। এখানে ম্যাচ ধরে ধরে পরিকল্পনা রাখবো। নিজের সেরাটা উজাড় করে দেবো। আমি বিপিএলটা ভালোভাবে শেষ করি, তারপর দেখা যাবে। আমাদের পরবর্তী সিরিজ মনে হয় পাকিস্তানের বিপক্ষে। তবে আপাতত ওই সিরিজ বা বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছি না। এখন বিপিএলে পুরোপুরি মনোযোগ দিতে চাই।’

রংপুরে রয়েছেন টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট বোলার মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া বিদেশিদের মধ্যে মোহাম্মদ নবী, শেই হোপ, আহমেদ শেহজাদ ও জুনায়েদ খানের মতো ক্রিকেটার। ২০১৯ বিপিএলে নিজ দলের ভালো সম্ভাবনা দেখছেন সানি। তিনি বলেন, আমার কাছে আমাদের দলটা সেরা মনে হয়। এখানে টি-টোয়েন্টির বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার আছেন। আর টি-টোয়েন্টিতে আসলে ভালো বা খারাপ বলে কিছু নেই। যেদিন যে ভালো করবে সেই জিতবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর