× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শিবচরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বাংলারজমিন

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
৮ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার

মাদারীপুর জেলার শিবচরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে। এ সময় তারা বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। শনিবার (৭ই ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার কুতুবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, নিয়োগে দুর্নীতি, পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও সনদ বিতরণের সময় অর্থ আদায়সহ নানা অভিযোগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাখাওয়াত হোসেনের পদত্যাগ দাবি করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিলও করে। খবর পেয়ে শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন খান ও নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তাদের আশ্বাসে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এসএসসি’র ফরম পূরণের জন্য অকৃতকার্য বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে গোপনে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে ফরমপূরণ করে দিয়েছেন। এ ছাড়াও কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও আদায় করছেন বাড়তি অর্থ।
অন্যদিকে পরীক্ষার প্রবেশপত্র দিতে এবং সনদপত্র দেয়ার সময়ও টাকা আদায় করে থাকেন বলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা অভিযোগ করেন।
এসব অভিযোগসহ প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতা, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাজে আচরণ ও নানা ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ এনে সকাল সাড়ে ন’টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। বিক্ষোভের ফলে বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ থাকে। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বেলা ১১টার দিকে পরীক্ষা শুরু হয়।
কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সদস্য মনোয়ার হোসেন বেপারী জানান, ‘ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে আসি এবং তাদের অভিযোগ ও দাবিগুলো শুনি। এ ব্যাপারে আমরা শিগগিরই আলোচনা করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবো।’
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে পাঠাই। শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের এ ধরনের অভিযোগ দুঃখজনক। তদন্ত করে প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর