× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রংপুরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ দুই শিশু সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর থেকে
৯ ডিসেম্বর ২০১৯, সোমবার

রংপুরে পারিবারিক কলহের জেরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ দুই শিশু সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে পাষণ্ড স্বামী। গত শনিবার রাতে নগরীর বাহার কাছনা বীরভদ্র এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় র‌্যাব নিজ বাড়ি থেকে পাষন্ড স্বামী রাজ্জাককে (৪৫) আটক করেছে।  পুলিশ, র‌্যাব ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রোববার সকালে বাড়ির লোকজনের সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা অটোরিক্সা চালক আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে যায়। এ সময় প্রতিবেশীদের বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেয় রাজ্জাক। পরে জোরপূর্বক বাড়ির শয়নকক্ষে ঢুকে বিছানায় রাজ্জাকের স্ত্রী রত্না (৩৫), শিশু কন্যা নেহা (২) ও ছেলে নিশাতের (১) লাশ দেখতে পায় তারা। খবর পেয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী মুত্তাকি ইবনু মিনান, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শহিদুল্লাহ কাওসার, হারাগাছ থানার ওসি কেএম নাজমুল কাদের, কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রশিদসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ সময় রাজ্জাককে তার বাড়ি থেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের হেফাজতে নেয় র‌্যাব। এলাকাবাসী জানায়, মাদকাসক্ত আব্দুর রাজ্জাকের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিল রত্না।
যৌতুকের জন্য প্রায়ই রাজ্জাক রত্নার ওপর নির্যাতন চালাতো। পারিবারিক অশান্তির কারণে স্ত্রী, দুই শিশুকে গলাটিপে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় রাজ্জাক। এ ব্যাপারে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) কাজী মুত্তাকি ইবনু মিনান বলেন, রত্না নামে যে নারীকে হত্যা করা হয়েছে তিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে দেখছি পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী আব্দুর রাজ্জাক তার স্ত্রী রত্নাসহ দুই সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। এরপর আটককৃত রাজ্জাক নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। তার গলায় কিছু কাটা থাকায় পুলিশ হেফাজতে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর