× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে স্বর্ণের লড়াই আজ /ফাইনালের আগে ‘সতর্ক বার্তা’ পেলেন সৌম্যরা

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
৯ ডিসেম্বর ২০১৯, সোমবার

সোনা জিততে হলে তিন বিভাগেই নিজেদের সেরাটা দিতে হবে- ফাইনালের আগে এমন বার্তাই পেলেন শান্ত-সৌম্যরা। গতকাল সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে রাউন্ড রবিন লীগে নিজেদের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কাছে ৯ উইকেটে হার দেখে বাংলাদেশ। আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই দুপুরে স্বর্ণ জয়ের লড়াইয়ে মাঠে নামছেন সৌম্য-শান্তরা। খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় দুপুর সোয়া ১টায়। বাংলাদেশের বড় দুশ্চিন্তা ব্যাটসম্যানদের অধিক ডট বল খেলার প্রবণতা। আগেই ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় গতকাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ বিশ্রামে রাখে সৌম্য সরকার ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে। অধিনায়কত্ব করেন ওপেনার সাইফ হাসান। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫০/৬ সংগ্রহ করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল।
৫৫টি বল ডট খেলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। এর মধ্যে এক বোলারের ৪ ওভারের স্পেলে ছিল ১৪টি ডটবল। আরেকজনের ৪ ওভারে ১২টি। নেপালের বিপক্ষে আগের ম্যাচেও ছিল একই চিত্র । ১৫৫ রান তুলেছিলেন সৌম্যরা। ডট বল ছিল ৫০টি। বাংলাদেশের দুশ্চিন্তায় নতুন মাত্রা যোগ করছে বোলিং। রাউন্ড রবিন লীগের কোনো ম্যাচেই প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট নিতে পারেননি সুমন খান-হাসান মাহমুদরা। ভুটানের মতো পুঁচকে দলকেও অলআউট করতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করেছিলেন সৌম্য। গতকাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মোট সাতজন বোলার ব্যবহার করেন সাইফ হাসান। সাত বোলার মিলে মাত্র ১ উইকেট নেন। বাঁহাতি পেসার মেহেদী হাসান রানা দ্বিতীয় ওভারে লঙ্কান ওপেনার নিশান মাদুস্কাকে সাজঘরে ফেরান। ১৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। পরে সাইফদের হতাশায় ডোবান পাথুম নিশাঙ্কা (৬৭) ও লাসিথ ক্রোসপুলি (৭৩)। ৮৬ বলে ১৩৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১৬.১ ওভারেই জয় নিশ্চিত করেন তারা। রানা উইকেট পেলেও ৩ ওভারের স্পেলে গড়ে ১৪’র ওপর রান দেন। জাতীয় দলে খেলা স্পিনার মেহেদী হাসান তুলনামূলক ভালো বোলিং করেন। ৩.১ ওভারে ১৫ রান দেন তিনি। সুমন খান ২ ওভারে ১৩ রান দেয়ার পর তাকে দিয়ে আর বোলিং করাননি সাইফ। বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম ৩ ওভারে খরচ করেন ২৬ রান। লেগিস্পনার মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদি ছিলেন আরো খরুচে। ৩ ওভারে দেন ২৮ রান। জাতীয় দলের ক্রিকেটার আফিফ হোসেন ধ্রুব ১ ওভারে ১৪ ও অধিনায়ক সাইফ ১ ওভারে ১১ রান দেন। সৌম্য-শান্তর অনুপস্থিতিতে ব্যাট হাতে নৈপুণ্য দেখান মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও ইয়াসির আলী। ১৩ রানে দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ (৬) ও সাইফ হাসান (৪) বিদায় নেন। আফিফও (৬) ব্যর্থ হন। ২১/৩ থেকে দলকে টানেন অঙ্কন-ইয়াসির। তাদের ৮০ রানের জুটিতে ১০০ পার করে বাংলাদেশ। অঙ্কনের বিদায়ে ভাঙে এ জুটি। ৩৮ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৪৪ রান করেন তিনি। ফিফটি পূর্ণ করে দলীয় ১২১ রানে সাজঘরে ফেরেন ইয়াসির। ৪৫ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় তিনি খেলেন ৫১ রানের ইনিংস। জাকির হাসান ১৭ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নেন আসিথা ফার্নান্দো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর