× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রেমিকার অন্তরঙ্গ ছবি ফেসবুকে, যুবক গ্রেপ্তার

অনলাইন

রাঙামাটি প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) ডিসেম্বর ১০, ২০১৯, মঙ্গলবার, ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন

রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ আদালত তোলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া যুবকের নাম মো. জসিম উদ্দিন (৩৮)।

জানা গেছে, প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে এক কলেজছাত্রীর (২২) সঙ্গে দীর্ঘ দুই বছর ধরে প্রেম করে আসছিলো কাপ্তাই প্রজেক্টের কর্মচারির সন্তান জসিম উদ্দিন। কিন্তু গত কয়েক মাস আগে প্রেমিকার কাছে জসিমের প্রথম বিয়ের কথা প্রকাশ হয়ে পড়ে। এতে ওই কলেজছাত্রী জসিমের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এতে জসিম ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
প্রেমের আসক্তিতে সে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে এক বছরের শিশু কন্যাসহ তাড়িয়ে দেয়।

কিন্তু বিবাহিত জেনে প্রেমিকা যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে প্রেমিক জসিম তাদের অন্তরঙ্গ মূহুর্তের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়। বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মাঝে বাক-বিতন্ডা হয়।

গত রোববার বিকালে নার্সিং ডিপ্লোমা অধ্যয়নরত ওই ছাত্রী বাড়ি ফেরার পথে জোর করে অন্য আরেকটি অটোরিকশায় তুলে নেয় জসিম। মেয়েটি কাপ্তাই থানার কাছে এসে চিৎকার দিলে পুলিশ জসিমকে আটক করে।

পরে সোমবার সারাদিনই নানা তৎপরতার মাধ্যমে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে তৎপরতা চালায় বর্তমান ও সাবেক প্রভাবশালী দু’জন জনপ্রতিনিধি। কিন্তু কাপ্তাই থানার অফিসার ইনচার্জের দৃঢ়তার কারণে তাকে ছাড়িয়ে নিতে পারেনি।

কাপ্তাই থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাছির উদ্দিন সোমবার রাতে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, আমরা মেয়েটির কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে এবং ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জসিমকে আটক করেছি এবং আজ মঙ্গলবার তাকে রাঙামাটির আদালতে  সোপর্দ করবো।

এদিকে ভিকটিম মেয়েটি প্রতিবেদককে মুঠোফোনে জানায়, বিগত প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিলো ছেলেটির। ছেলেটি বিবাহিত জানার পর সম্পর্ক ছিন্ন করে নিই। কিন্তু সম্পর্ক থাকাকালীন সময়ে তোলা কিছু ছবি সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে দেয়। কয়েক মাস ধরেই তাকে অব্যাহতভাবে বিয়ের জন্য বিরক্ত করে আসছিলো। তাকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছিলো। অবশেষে আমাকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় কাপ্তাই থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর