× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘শিল্পী হিসেবে এটি আমার বড় পাওয়া’

বিনোদন

এন আই বুলবুল
১১ ডিসেম্বর ২০১৯, বুধবার

আমি সব সময় পজেটিভ চিন্তা ভাবনা করি। তবে এ বছরটি কেমন যাচ্ছে তা নিয়ে তেমন কোনো ভাবনা আমার নেই। আমি মনে করি আগামী কালকের দিনটা আমার আজকের থেকেও হয়তো কোনো কারণে খারাপ যেতে পারে। তাই বর্তমান নিয়েই আমি খুশি থাকি। এভাবেই চলতি বছর প্রসঙ্গে নিজের অভিব্যক্তি জানালেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শারমিন জোহা শশী। চলতি বছর টিভি নাটকের জন্য কেমন ছিল? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের দর্শকের পছন্দের জায়গা পরিবর্তন হয়েছে। একইসঙ্গে আমরা নাটকের গল্প থেকে সরে এসেছি। তিন বছর আগেও গল্পনির্ভর নাটকে নিয়মিত কাজ করেছি।
গল্পনির্ভর বলতে ফ্যামিলি ড্রামার কথা বলছি। এখন নাটকে দু’তিনটি চরিত্রের বেশি নির্মাতারা রাখতে চান না। গল্পনির্ভর নাটক বাদ দিয়ে কমেডি নাটকে সবাই মনোযোগী। আমি ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে দেখেছি কমেডি নাটকেও অনেক সুন্দর গল্প থাকে। কিন্তু এখন দর্শককে জোর করে হাসানোর প্রতিযোগিতা চলছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের ভবিষ্যৎ ভালো হবে বলবো কীভাবে? এদিকে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় করছেন এ অভিনেত্রী। তবে দীর্ঘ এ সময়ে তাকে জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর বিপরীতে দর্শক তেমন পায়নি। ২০০৭ সালের দিকে প্রথমবারের মতো ‘ঘরকুটুম’ শিরোনামের একটি ধারাবাহিকে তারা জুটি বাঁধেন। চলতি বছরের মার্চ মাসে তারা দ্বিতীয়বার ‘জুটি বাঁধেন ‘অগ্নি পুরুষ’ শিরোনামের একটি একক নাটকে।
তৃতীয়বারের মতো তাদেরকে দেখা যাবে আসছে বিজয় দিবসের ‘আগুন ঝরা দিনগুলি’ শিরোনামের একটি নাটকে। এটি নির্মাণ করেছেন কৌশিক শংকর দাস। শশী বলেন, চঞ্চল ভাইয়ের সঙ্গে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ধারাবাহিক নাটকে কাজ করেছি। এরপর একযুগের মতো আমাদের আর একসঙ্গে কোনো কাজ করা হয়নি। চলতি বছরে এসে আবারো সুযোগ হলো। বিজয় দিবসের এ নাটকটি মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মাণ হয়েছে। এছাড়া এরইমধ্যে ‘ঘুনপোকা’ শিরোনামের আরো একটি একক নাটকের শুটিং শেষ করেছেন শশী। এতে তার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন মনোজ। নাটকটি নির্মাণ করেছেন মুসাফির রনি। খণ্ড নাটকের বাইরে ধারাবাহিক নাটকেও এ অভিনেত্রী ব্যস্ত সময় পার করছেন বলে জানান। তার হাতে আছে এখন চারটি ধারাবাহিক নাটক। এগুলো হলো জাহিদ হাসানের ‘হুলস্থুল’, আজাদ আবুল কালামের ‘টুইন ভিলেজ’, বিপ্লব হায়দারের ‘জুলি বিউটিফুল’ ও শাহিন সরকারের ‘জ্ঞানীগঞ্জের পণ্ডিতেরা’। প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র ‘হাজার বছর ধরে’র মধ্য দিয়ে শশী সবার নজের এসেছিলেন। সে সময় অনেক নির্মাতা তার সম্পর্কে চলচ্চিত্রের জন্য দারুণ সম্ভাবনাময়ী নায়িকা বলেও মন্তব্য করেন। কিন্ত শশী এক চলচ্চিত্রের ওপরই স্থির হয়ে আছেন। নতুন চলচ্চিত্রে নেই কেন? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের ভালো চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে একটি বলা হয় আমার অভিনীত ছবিটিকে। একজন শিল্পী হিসেবে এটি আমার বড় পাওয়া। অনেকের চলচ্চিত্রের সংখ্যা বেশি। কিন্তু ভালো চলচ্চিত্র নেই। আমার কাছে চলচ্চিত্রের প্রস্তাব আসে। কিন্তু যেসব প্রস্তাব পাই সেগুলো আমার মনে দাগ কাটে না। এ কারণেই চলচ্চিত্রে কাজ হচ্ছে না।
অভিনয়ের পাশাপাশি মাঝে-মধ্যে ভিন্ন কিছু করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন বলে জানান শশী। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি তিনি একটি কমেডি প্রতিযোগিতার বিচারক হয়েছেন। এনটিভিতে প্রচার চলতি এ শোটির নাম ‘হা-শো’। এর আগে তিনি ‘নাট্যযুদ্ধ’ শীর্ষক নাটক বিষয়ক একটি প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। শশীর ভাষ্য, এবার কমেডি শো ‘হা-শো’র রংপুর বিভাগের অডিশনের বিচারক ছিলাম। অনেক মজার একটি প্রতিযোগিতা এটি। মাঝে মাঝে ব্যতিক্রমী কিছু করতে ভালো লাগে। এর আগেও একটি অনুষ্ঠানের বিচারক হয়েছি। তবে দুটি প্রতিযোগিতা দু’ধরনের।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর