× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে উত্তাল উত্তর-পূর্ব ভারত

দেশ বিদেশ

কলকাতা প্রতিনিধি
১১ ডিসেম্বর ২০১৯, বুধবার

ভারতের লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সোমবার মধ্যরাতে পাস হওয়ার পর মঙ্গলবার থেকে আসাম সহ উত্তর-পূর্ব ভারত বিলের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে। বিলে অবশ্য ইনার লাইন পারমিট চালু রয়েছে যেসব রাজ্যে সেসব রাজ্য এবং সমস্ত আদিবাসী এলাকাকে এর আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। বিলের বিরুদ্ধে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তর-পূর্ব ভারতে আন্দোলন চলছে। আসুর দাবি, এই বিল আসামে মুঘল আক্রমণের মতোই বিপজ্জনক। দিসপুরে সচিবালয়ের প্রবেশপথ বন্ধ করে অবস্থান বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। রাজ্যজুড়ে বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়েছে। তাই অহম যুব ছাত্র পরিষদ ডিব্রুগড়ে ‘উলঙ্গ’ প্রতিবাদে শামিল হয়েছে।
রাজ্যের সব জেলায় এসপি ও জেলা শাসকদের সতর্ক করা হয়েছে।
বিলের বিরোধিতায় বিজেপি  থেকে পদত্যাগ করেছেন অভিনেতা রবি শর্মা।  গত সোমবার রাতে আসামের রাজধানীতে নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে  বিশাল মশাল মিছিল হয়েছে। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করেছে। নর্থ-ইস্ট স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন (নেসো) গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতে ১১ ঘণ্টার বন্‌ধের ডাক দিয়েছে। অবশ্য হর্ণবিল উৎসব উপলক্ষে নাগাল্যান্ডকে বন্‌ধের বাইরে রাখা হয়েছে। এসএফআই, ডিওয়াইএফআই, এআইডিডব্লিউএ, এআইএসএফ ও আইপিটিএসহ ১৬টি বামপন্থি সংগঠন নেসোর ডাকা বন্‌ধকে সমর্থন জানিয়েছে। আসামের বিভিন্ন জায়গায় মঙ্গলবার সকাল থেকে বিক্ষোভ আন্দোলন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে।   শোনিতপুর ও লখিমপুর জেলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে গুজব সম্পর্কে সকলকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। সোমবার আসামের বিস্তীর্ণ এলাকা অল কোচ রাজবংশী স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন ও অল মোরানস্টুডেন্টস ইউনিয়নের ডাকে বন্‌ধ পালিত হয়েছে। যদিও মণিপুরকে বিলের আওতার বাইরে রাখতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওই রাজ্যে ইনার লাইন পারমিট চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন, তবুও মণিপুরে প্রতিবাদ আন্দোলন চলছে। সরকার অবশ্য মঙ্গলবার রাজ্যের সব অফিস, আদালত ও স্কুল-কলেজ বন্ধ রেখেছে। এদিকে কলকাতায় সোমবার এক সমাবেশ থেকে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (এনআরসি), জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জী (এনপিআর) এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (ক্যাব) ঠেকাতে সরকারের সঙ্গে অসহযোগিতার ডাক দিয়েছেন কানহাইয়া কুমার, কবিতা কৃষ্ণন, কান্নন গোপীনাথন সহ বাম নেতা ও সাবেক আমলারা। তাদের যুক্তি, সংবিধানের নামে শপথ নেয়া সরকার যদি সংবিধানকে না মানে, তা হলে জনতারও কোনো দায় নেই সরকারকে মানার। সিপিআইয়ের তরুণ নেতা কানহাইয়া কুমার এ দিন বলেছেন, সরকারের যদি সন্দেহ হয় আমরা অনেকেই এ দেশের নাগরিক নই, আমরা অনুপ্রবেশকারী, তা হলে নাগরিক কিনা, তা প্রমাণ করার ভার সরকারই নিক। আমরা কেন নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে যাবো? এনআরসি’র প্রথম ধাপ হিসেবে এনপিআর’র জন্য সমীক্ষার কাজে সরকারি আধিকারিকেরা এলে জল খাইয়ে তাদের বিদায়  দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর