বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) ও পাকিস্তান সুপার লীগে (পিএসএল) ম্যাচ পাতানোর কথা স্বীকার করলেন ক্রিকেটার নাসির জামশেদ। এতে বড় শাস্তির মুখে ৩৩ বছর বয়সী পাকিস্তানি এ ব্যাটসম্যান। সবশেষ শুনানিতে নাসির জামশেদ জানান, ২০১৬ মৌসুমের বিপিএলে ম্যাচ পাতানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। জামশেদ নিজে ম্যাচ পাতানোর পাশাপাশি সতীর্থ পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান শারজিল খানকেও ম্যাচ পাতাতে সহায়তা করেছেন। নিজে ঘুষ নিয়েছেন এবং ঘুষ দিয়েছেন পাকিস্তানের এই ওপেনারকে। জানা যায়, জামশেদ ম্যাচ পাতানোর কাজ করেছেন ইউসুফ আনোয়ার (৩৬) নামের জুয়াড়ির জন্য। আনোয়ারের হয়ে সেই মৌসুমে জামশেদসহ ছয়জন ক্রিকেটার বিপিএলে ম্যাচ পাতানোর জন্য কাজ করেন। জামশেদ ও শারজিল ঐ মৌসুমে রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলছিলেন।
এক ম্যাচে শারজিল খানের ব্যাটে বাহারি রংয়ের গ্রিপ লাগিয়ে জুড়াড়িদের সংকেত দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি সেটি করতে ভুলে যান। এরপর আরেক ম্যাচে ফিক্সিং করার কথা থাকলেও সে ম্যাচে একাদশে সুযোগ পাননি শারজিল। পরবর্তীতে ২০১৭’র পাকিস্তান সুপার লীগে (পিএসএল) তারা ফিক্সিং সম্পন্ন করেন। সে মৌসুমে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের হয়ে ম্যাচ পাতানোতে যুক্ত হন তিনি। যেখানে জামশেদের কথা মতো প্রথম দুই বল ডট দিতে রাজি হন শারজিল। এর আগে ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন নাসির জামশেদ। তবে সোমবার ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার ক্রাউন কোর্টে সব স্বীকার করেন তিনি। আর শুনানি শেষে ট্রায়াল কোর্টের প্রসিকিউশন কর্মকর্তা অ্যান্ড্রু থমাস বলেন, ‘জাতীয় অপরাধ তদন্ত এজেন্সির একজন পুলিশ সদস্য ছদ্মবেশ নিয়ে এসব তথ্য উদ্ধার করেন। তিনি দুর্নীতিবাজ ফিক্সিং সিন্ডিকেটের সদস্য হিসেবে অনুপ্রবেশ করেন। তারপর সিন্ডিকেটের নেটওয়ার্ক থেকে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করেন।’ যেখানে জানা যায়, ইউসুফ আনোয়ার হচ্ছেন এর মূল হোতা পরবর্তীতে পরবর্তীতে ম্যাচ পাতানোর কারণে শারজিলকে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। পাকিস্তান সুপার লীগ টার্গেট করে বার্মিংহামের এক রেস্তোরায় বসে জুয়াড়িদের সঙ্গে পরিকল্পনা করেন নাসির জামশেদ।। গত মৌসুমে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড ও পেশোয়ার জালমির খেলোয়াড়দের ম্যাচ পাতানোর জন্য ঘুষ দেন তিনি। আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে রায় দেবেন ম্যানচেস্টার আদালত।