× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

উল্লাপাড়ায় গৃহবধূর চুল কর্তনকারী আওয়ামী লীগ নেতার আত্মসমর্পণ

শেষের পাতা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
১১ ডিসেম্বর ২০১৯, বুধবার

উল্লাপাড়ায় বঁটি দিয়ে এক গৃহবধূর চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রশিদ আদালতে আত্মসমর্পণের পর বিচারক তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল সকালে উল্লাপাড়া আমলি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলাম আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন বলে কোর্ট পরিদর্শক ফজলুল হক জানান। এ মামলার অন্য ৪ আসামি এখনও পলাতক রয়েছে। এদিকে, রোববার এ ঘটনায় কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা ১১ই ডিসেম্বরের মধ্যে জানাতে সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও উল্লাপাড়া থানাকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের দ্বৈত বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। ওই দিন ইসরাত হাসান নামে এক আইনজীবী গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ তুলে ধরে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আদালত ওই নির্দেশনা দেন। ‘ওই সময় নেতাদের কথায় পুলিশ ওঠাবসা করলে আইনের শাসন থাকে না বলে মন্তব্য করেন আদালত। সংবাদ মাধ্যম আসামিকে খুঁজে পেলেও পুলিশ কেন তাদের খুঁজে পায় না, তা নিয়েও প্রশ্ন্ন তোলেন আদালত’ গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ওই আদালতের ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মাহমুদ বাশার।
অপরদিকে, আদালতের এ নির্দেশনার পর সোমবার সকালে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান ও থানার ওসি  শাহীন শাহ পারভেজ ওই গৃহবধূর বাড়িতে যান এবং তাদের পরিবারের খোঁজ নেন।
তাদের নিরাপত্তায় রোববার রাত থেকে বাড়িতে একজন এসআই’র নেতৃত্বে পুলিশ পাহারা বসানো হয়েছে বলেও জানান ইউএনও। ওসি শাহীন শাহ পারভেজ বলেন, মামলার প্রধান আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে সিরাজগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ। গত ২৫শে নভেম্বর রাতে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ২ সন্তানের জননী নিজেই বাদী হয়ে ২রা ডিসেম্বর উল্লাপাড়া মডেল থানায় ওই আওয়ামী লীগ নেতা ও তার চার সহযোগীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০/৩০ ধারায় একটি মামলা করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলো, গজাইল গ্রামের মোজাহারের ছেলে মুনসুর (৩৮), বাহের প্রামাণিকের ছেলে আব্দুস সালাম (৪৫), নাসির উদ্দিন (৪০) ও শহিদুল ইসলাম (৩২)।
ওই নারীর অভিযোগ, ২৫শে নভেম্বর সন্ধ্যায় তিনি তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের খোঁজে বের হন। পথিমধ্যে একই গ্রামের সাইফুল ইসলামের বাড়ির পাশে উধুনিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ ও তার চার সহযোগী ওই নারীর পথরোধ করেন। এসময় সাইফুল ইসলামের সঙ্গে তাকে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন তারা। এতে গ্রামের লোকজন ছুটে এলে তাদের সামনে তাকে বিবস্ত্র করে মারপিট করা হয়। পরে কয়েকশ লোকের সামনে বটি দিয়ে তার মাথার চুল কেটে দেয়া হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর