ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্ন্তজাতিক সর্ম্পক বিভাগের অধ্যাপক এহসানুল হক বলেছেন, মিয়ানমারের গণহত্যা মামলার শুনানি জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে শুরু হয়েছে- এটি বাংলাদেশের একটি বড় সাফল্য। তবে অং সান সুচি কিভাবে আত্মপক্ষ সর্মথন করে, কি যুক্তি উপস্থাপন করে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, সুচি হেগে যাওয়ার আগে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে গেছেন। এতে বোঝা যাচ্ছে যে, তারা খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়ে গেছে। এখন দেখা যাক আদালতে তারা কি ধরনের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করে। যদিও সুচির আত্মপক্ষ সর্মথনের কোনরকম সুযোগ আছে বলে আমার মনে হয় না। কারণ খুব পরিষ্কারভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। এটার সুস্পষ্ট প্রমাণও আছে।
আর্ন্তজাতিকভাবে এখন এ বিষয়টি স্বীকৃত।
এহসানুল হক বলেন, ওআইসি’র পক্ষ থেকে গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাটি করেছে। এখানে বাংলাদেশেরও একটি অবস্থান আছে। আমরা আশা করবো, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ওআইসি আরও জোরালো ভূমিকা রাখবে।
তবে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন এই অধ্যাপক। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন কিভাবে হবে এ বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। আমরা আশা করি, জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে মিয়ানমারে চাপ সৃষ্টি করতে পারবে।