গণহত্যার অভিযোগে আজ জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়াচ্ছেন মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচি। এ সময়ে তিনি তার দেশে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর নৃশংসতা, গণহত্যার পক্ষে সাফাই গাইবেন। এর আগে মঙ্গলবার ওই আদালতে মামলার বাদী গাম্বিয়ার আইন বিশেষজ্ঞরা তাদের যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন। যখন রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর নৃশংসতার নির্মম বর্ণনা দিচ্ছিলেন তারা তখন সুচি ছিলেন নির্বিকার। তার মধ্যে কোন ভাবলেশ ছিল না। আজ তিনি তার দেশের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরবেন আদালতে। আর কিছু সময় পড়েই শুরু হচ্ছে এই্ আদালতের দ্বিতীয় দিনের শুনানি।
রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়ে ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে মিয়ানমার এ অভিযোগে আইসিজেতে মামলা করেছে পশ্চিম আফ্রিকার ছোট্ট দেশ গাম্বিয়া।
সেখানে নিজের দেশের নির্যাতনকারী সেনাবাহিনীর পক্ষ নিতে উপস্থিত মিয়ানমারের শীর্ষ রাজনীতিক অং সান সুচি। তার এমন উপস্থিতিতে হতাশা প্রকাশ করেছেন সমালোচকরা। সুচির অফিস থেকে বলা হয়েছে, তিনি জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য সেখানে গিয়েছেন। আজকের শুনানিতে সুচি তার সরকারের পক্ষে কি বলবেন তা প্রকাশ করা না হলেও এটা ধরে নেয়া যায় যে, তিনি ও তার আইনি টিম আদালতে এমন বক্তব্য তুলে ধরতে পারেন যে, এই আদালতের বিচার করার এক্তিয়ার নেই অথবা মিয়ানমারে কোনো গণহত্যা হয় নি। তিন দিনের শুনানির আজ দ্বিতীয় দিন। এর প্রথম দিনের শুনানিতে মঙ্গলবার গাম্বিয়া ‘প্রভিশনাল মেজারস’ বা অস্থায়ী ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের প্রতি।