× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ধামরাইয়ে অপহরণের পাঁচদিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার

বাংলারজমিন

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
১২ ডিসেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার

ঢাকার ধামরাইয়ে অপহরণের পাঁচদিন পর ঘাতকের স্বীকারোক্তিতে কচুরিপানার নিচে মিললো পাঁচবছরের শিশু মুবিনের লাশ। গতকাল ভোররাতে ধামরাইয়ের মঙ্গলবাড়ী গ্রামের পাশের একটি পরিত্যক্ত পুকুরের কচুরিপানার নিচ থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। মুবিন ধামরাইয়ের বাইশাকান্দা ইউনিয়নের মঙ্গলবাড়ি গ্রামের প্রবাসী আবদুল করিমের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত ঘাতক আজিজুল ইসলাম ওই একই গ্রামের মফিজ উদ্দিনের বাড়ির কেয়ারটেকার। তার বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়। জানা গেছে, গত শনিবার মুবিন নতুন জামা ও প্যান্ট পরে মায়ের কাছ থেকে পাঁচ টাকা নিয়ে বাড়ির পাশে দোকানে যায় মোজা কিনতে। কিন্তু এরপর আর সে বাড়িতে ফিরে আসেনি। তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ওইদিন রাতেই ধামরাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন মুবিনের এক স্বজন।
ওইদিন রাতেই তাদের টয়লেটের কাছে পাওয়া গেছে একটি চিরকুট। এতে লেখা ছিল ‘মুবিনের কথা ২৪ ঘণ্টা স্মরণ রাখবে’। এছাড়া ওই চিরকুটে একটি মোবাইল নম্বরও লেখা ছিল। এরপর সোমবার রাতে মুবিনের মামা সোহেল মাহমুদ বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি অপহরণের মামলা করেন। পরে পুলিশ ওই মোবাইলের সূত্র ধরেই মঙ্গলবাড়ী গ্রামের মফিজ উদ্দিনের বাড়ির কেয়ারটেকার কুড়িগ্রামের আজিজুল ইসলামকে মঙ্গলবার রাতে আটক করে। তার স্বীকারোক্তি নিয়েই গতকাল বুধবার সকালে মঙ্গলবাড়ী গ্রামের পাশের একটি পরিত্যক্ত পুকুরের কচুরিপানার নিচ থেকে মুবিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত আজিজুল ইসলামসহ তিনজনে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য মুবিনকে দোকানের পাশে একা পেয়ে অপহরণ করে। পরে মুবিন কান্নাকাটি করতে থাকায় ধরা পড়ার ভয়ে গলাটিপে হত্যার পর মুবিনের লাশ মঙ্গলবাড়ী গ্রামের পাশের একটি পরিত্যক্ত পুকুরের কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রাখে। মুবিনের মা রওশন আরা জানান, তার ছেলে মুবিনকে শনিবার সকালে নতুন জামা ও প্যান্ট কিনে দেয়া হয়েছে। ওই জামা-কাপড় পরেই সে আমার কাছ থেকে পাঁচ টাকা নিয়ে দোকানে যায় মজা কিনতে। এর আগে মুবিন আমার কাছে ভাপা পিঠা খেতে চেয়েছে। ছেলের মর্জিতে পিঠাও তৈরি করেছিলাম। কিন্তু তার আর পিঠে খাওয়া হয়নি। আমি আমার ছেলে হত্যার ঘাতকদের বিচার চাই।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, আজিজুলের স্বীকারোক্তিতে উদ্ধার করা হয় মুবিনের লাশ। ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে মুবিনের লাশ। অন্য আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, আজিজুল তার মা ও স্ত্রীকে নিয়ে প্রায় ১২ বছর ধরে উপজেলার মঙ্গলবাড়ী গ্রামের মফিজ উদ্দিনের বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসেবে বসবাস করে আসছিল। এ সুযোগে গ্রামের অনেকের সঙ্গে তার সখ্যতার পাশাপাশি মুবিনকেও সে বন্ধু বলে ডাকতো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর