কানাইঘাট উপজেলার দনা পানিছড়া সীমান্তে বড়খেওড় গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সালমান আহমদের অপমৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সিলেট জেলা পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন এডভোকেট এম. মঈনুল হক বুলবুল। তিনি বায়মপুর গ্রামের মৃত মো. শফিকুল হকের ছেলে। গতকাল তিনি এই অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, গত ২৮শে নভেম্বর আবুল হোসেনের ছেলে সালমান আহমদের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ তার মৃত্যু ভারতীয় সীমান্তরক্ষীর গুলিতে হয়েছে উল্লেখ করে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে পরিবার তার লাশ দাফন সম্পন্ন করে। তিনি অভিযোগ করেন, স্থানীয় কিছু মানুষ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তারা অপরাধমুখী সদস্যদের সহায়তায় ভারত থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে গরু, মহিষ ও মাদক এদেশে বিক্রি করে। তারা দিঘীরপার পূর্ব ইউনিয়নের সড়ক বাজারের পার্শবর্তী কয়েকটি গ্রামে চোরাচালানের গরু, মহিষ ও মাদক বিক্রয়ের হাট বানিয়ে প্রকাশ্যে এই চোরাই পণ্য বিক্রি করে অপরাধপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
পুলিশের কতিপয় কর্মকর্তার নামে প্রতি গরু, মহিষে ৮শ’ টাকা ও বিজিবির নামে প্রতি গাড়িতে ২ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে। চোরাই গরু আনতে গিয়ে গুলিবর্ষণে অনেকেই আহত হয়।
ঘটনায় সালমান নামের এই কিশোরের মৃত্যু হয়। পরে সালমানকে বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে পুলিশ মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। পূর্বেও এই আসামিরা একইভাবে দিনমজুরদের আর্থিক প্ররোচনায় ভারতে বে-আইনি প্রবেশের মাধ্যমে চোরাচালান পরিবহনের জন্য প্রেরণ করে। এ ঘটনার পরও বর্তমানে একই অবস্থা বিদ্যমান। নিহত সালমান বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে এখনো শিশু। আসামিরা নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও সালমানসহ দিনমজুরদের ভারতে চোরাচালান পণ্য বাংলাদেশে আনার জন্য নিযুক্ত করে। এই এলাকার একজন স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে নিহত সালমানের বিচার ও দোষী ব্যক্তিদের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।