রাজশাহীতে চলন্ত বাসে যুবতীকে যৌন হায়রানির অভিযোগে বাসের সুপারভাইজারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাজশাহী নগরীর মতিহার থানার বিনোদপুর বাজার এলাকা থেকে আকিব পরিবহনের সুপারভাইজার ফজলুর রহমানকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়। নাটোর-রাজশাহী মহাসড়কে ‘আকিব পরিবহন’ (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৮৬৪৩) নামের চলন্ত বাসে যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটে বলে জানান মতিহার থানার ওসি। গ্রেপ্তার সুপারভাইজার ফজলুর রহমান নাটোর জেলার রহিমকুড়ি গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে। মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ পারভেজ বলেন, লক্ষ্মীপুর জেলা থেকে রাজশাহীগামী আকিব বাসের সুপারভাইজারকে মারধর করা হচ্ছে এমন খবর পেয়ে বিনোদপুর বাজারে জনতার কবল থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় ওই যুবতীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। সেই সঙ্গে আকিব বাসটিও জব্দ করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়। তবে সুপারভাইজার ফজলুর রহমান জনতার রোষানলে পড়লে বাসের ড্রাইভার ও হেলপার পালিয়ে যায়।
ওসি বলেন, ওই যুবতী শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে সুপারভাইজার ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে নারী-শিশু নির্যাতন আইনের ১০ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সুপারভাইজারকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। যৌন হয়রানির শিকার যুবতীর বরাত দিয়ে ওসি মাসুদ পারভেজ জানান, মেয়েটির বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলা সদরে। নানা বাড়ি থেকে পড়াশোনা করে। রাজশাহী নগরীর শিরোইল এলাকায় বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে আসার উদ্দেশ্যে সোমবার বিকাল ৫টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর বাসস্ট্যান্ড থেকে আকিব যাত্রীবাহী বাসে উঠে। রাজশাহীগামী বাসটি নাটোর পার হওয়ার পর প্রায় যাত্রীশূন্য হয়ে যায়। এ সময় বাসের সুপারভাইজার যুবতীর পাশের সিটে বসে তাকে কু-প্রস্তাব দেয় এবং তার শরীরে জোরপূর্বক হাত দেয়। এ সময় ওই যুবতী চিৎকার দিলে তাকে ভয়ভীতি দেখানো হয়। রাত দেড়টার দিকে নগরীর বিনোদপুর বাজার অতিক্রম করার সময় ওই যুবতী লোকজনকে দেখে চিৎকার দেয়। এ সময় স্থানীয়রা বাসটির গতিরোধ করে যুবতীর মুখে ঘটনা শুনে সুপারভাইজারকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ সুপারভাইজারকে গ্রেপ্তার ও যুবতীকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়।