ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে এলজিইডি’র একটি রাস্তার নিম্নমানের কাজের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সালাহ উদ্দিনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাদাবির মামলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মেসার্স লোকমান হোসেন এন্ড মোস্তফা কামাল (জেবি) ঠিকাদারি ফার্মের ব্যবস্থাপক আতিকুর রহমান সুমন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বিচারক সারোয়ার আলম জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত করে এবিষয়ে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় অভিযোগ করা হয় ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে এলজিইডি’র আশুগঞ্জ-তালশহর রাস্তার মেরামত কাজের ঠিকাদারি পায়। কাজটি পাওয়ার পর থেকেই ইউপি চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন কাজটি তার কাছে বিক্রি করে দেয়ার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক লোকমান হোসেনকে হুমকি দেন। হুমকি উপেক্ষা করে তারা কাজ চালিয়ে যেতে থাকলে গত ৪ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে সালাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে মামলায় অন্য অভিযুক্তরা আশুগঞ্জ উপজেলা সদরের আলমনগর সড়ক সেতুর সামনে এসে আতিকুর রহমান সুমনের কাছে জানতে চান লোকমান হোসেন কোথায় আছে । এ সময় সালাহ উদ্দিন বলেন- লোকমান হোসেন তাদেরকে ৬ লাখ টাকা চাঁদা দেয়ার কথা। তখন আতিকুর রহমান সুমন বলেন চাঁদার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
এ কথা বলার পর কাজ বন্ধ রাখার কথা বলে আতিকুর রহমানের উপর অভিযুক্তরা হামলা করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। মামলার আইনজীবী মাহবুবুল আলম খোকন জানান, আদালত মামলাটি তদন্ত করে ডিবির ওসিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
তবে চাঁদা দাবি ও হামলার অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, তদন্ত হলেই ঘটনার সত্যমিথ্যা বের হবে। আমি এই জীবনে কারো কাছে চাঁদা চেয়েছি তা বলতে পারবেনা কেউ। রাস্তার কাজের মান ভালো রাখার জন্য জনগণের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে যদি মামলা হয় হবে। এতে কোনো সমস্যা নেই। রাস্তার কাজ যে খারাপ হচ্ছে তার প্রমাণ আছে।
এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর আশুগঞ্জ-তালশহর সড়কের সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার নিয়ে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ দেন আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যন মো. সালহ উদ্দিন, তালশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সামা ও আড়াইসিধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারাম্যান মো. সেলিম।