× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মশালায় বক্তারা / সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
১২ ডিসেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার

 বাংলাদেশে এক সময় প্রকট খাদ্য সংকট ছিল কিন্তু এখন আর নেই। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে এখন খাদ্য রপ্তানি করছে। কিন্তু পুষ্টি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দেশ এখনো অনেক পিছিয়ে আছে। সরকার, গণমাধ্যম, দাতা সংস্থা এবং এনজিওসহ সকলের সমন্বিত উদ্যোগে খাদ্যের পাশাপাশি জনগণের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। ১০ই ডিসেম্বর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ-পিআইবি’র সেমিনার কক্ষে জাতিসংঘের ‘ফুড এ্যান্ড এগ্রিকালচার ওর্গানাইজেশন এবং সেভ দ্যা চ্রিলড্রেন-এর সহযোগিতায় পিআইবি আয়োজিত সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালায় বক্তারা এইসব কথা বলেন। কর্মশালার সমাপনী বক্তব্যে পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, দেশের জনগণের মধ্যে পুষ্টি বিষয়ে সচেতন করা জরুরি। ভবিষ্যত প্রজন্মকে ভেজালমুক্ত পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে গণমাধ্যমকে জোরালো ভুমিকা রাখতে হবে। তিনি খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা বিষয়ক রিপোর্টিং উৎসাহিত করতে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য এ বিষয়ে ফেলোশীপ প্রবর্তনের জন্য উন্নয়ন অংশীদারদের আহবান জানান।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও কৃষি পরিবীক্ষণ ইউনিটের মহাপরিচালক মোহাম্মদ বদরুল আরেফিন বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। একইসঙ্গে জনগণের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপর জোর দিয়েছে। তিনি বলেন, প্রান্তিক মানুষের জন্য পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটু চ্যালেঞ্জিং বিষয়। কিন্তু আমরা আশা করছি, গণমাধ্যম, দাতা সংস্থা, এনজিওসহ সকল অংশীজনের সহযোগীতায় এবং সমন্বিত উদ্যোগে আমরা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সকলের জন্য পুষ্টি নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে পারবো। বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়েনের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রোগ্রামের ম্যানেজার আশুন্তা টেসতা বলেন, সাধারণ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গণমাধ্যমকে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে হবে। তথ্য দেয়ার পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীরা যদি জনগণকে পুষ্টি নিরাপত্তার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয় এবং সচেতন করে তাহলে সাধারণ মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহজ হবে। ইউএসআইডি’র খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষি নীতি বিষয়ক জেষ্ঠ্য উপদেষ্টা মোহাম্মদ শাহিদুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশে এক সময় খাদ্য সংকট প্রকট থাকলেও বর্তমানে সে অবস্থা আর নেই। বাংলাদেশ এখন নিয়মিত খাদ্য রপ্তানি করছে। তবে সাধারণ মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। এক্ষেত্রে আমরা এখনো পিছিয়ে রয়েছি। সরকারসহ সকল অংশীজনেরা যথাযথ উদ্যোগ নিলে এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইউএসআইডি’র ইকোনমিক গ্রোথ কমিউনিকেশন এডভাইজার আইরিশ ক্রজ, ইউএসআইডি’র ইকোনমিক গ্রোথ অফিসের প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ মেহেদি হাসান, সেভ দ্যা চিলড্রেন এর পরিচালক (চাইল্ড পোভার্টি) ফ্রেডরিক ক্রিস্টোফার, মিটিং দ্যা আন্ডার নিউট্রেশান চ্যালেঞ্জ প্রকল্পের চিফ ট্যাকনিক্যাল এডভাইজার নাউকি মিনমিগোসি, ডিএফআইডি’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার তাসনিম সিদ্দিক, সূচনা প্রকল্পের চিফ অব পার্টি শেখ শাহেদ রহমান প্রমুখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর