× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শিবচরে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা, আটক ২৫

দেশ বিদেশ

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
১২ ডিসেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার

 শিবচরের কুতুবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। এ সময় শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও’র গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ সময় পুলিশ কমপক্ষে ৪০ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্র ভঙ্গ করে। এ ঘটনায় ৫২ জনকে চিহ্নিত করে অজ্ঞাত সহস্রাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ২৫ জনকে আটক করেছে। গত মঙ্গলবার সকালে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি কাজী জিহাদুল কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি কাজী জিহাদুল কবিরকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোসা. লুৎফুন্নাহার নাজীমকে প্রধান করে অপর আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কুতুবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে গত শনিবার বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠান। ওই বিষয়টি নিয়ে গত সোমবার বিকালে কুতুবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে মিটিং করেন উপজেলা প্রশাসন। তখন প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করে দিলে তার প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় অভিভাবকেরা। তারা প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করে ফের বিক্ষোভ করে। এ সময় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশসহ সংশ্লিষ্টরা বিক্ষোভকারীদের বুঝানোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে বিক্ষুব্ধরা উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও’র গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ প্রায় ৪০ রাউন্ড গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রাতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলে তদন্তে আসেন ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জিহাদুল কবির, জেলা পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) উত্তম কুমার পাঠকসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা। কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল ছাড়াও আহত ব্যক্তি, সাংবাদিকসহ অনেকের কাছ থেকে ঘটনার বর্র্ণনা নেন। রাতে ঘটনাস্থল ও আশপাশ থেকে ২৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শিবচর থানার এসআই মারুফুল হক বাদী হয়ে ৫২ জনকে চিহ্নিত আসামি ও অজ্ঞাতনামা আরো ১ হাজার থেকে ১২ শ’ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া গত মঙ্গলবার রাতে আটক ২২ আসামিকে মাদারীপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়। শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, সোমবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যান বিদ্যালয়ে যান। সেখানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকে অবরুদ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। এরপর সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠি চার্জ ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘গত ৩দিন ধরে শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছিল। সোমবার বিকালে উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা মাধ্যমিক অফিসারকে নিয়ে এলাকায় যাই। সেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে সমোঝতা করার চেষ্টা করি। কিন্তু শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী প্রশাসনের আশ্বাস না মেনে বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা দু’টি গাড়ি ভাঙচুর করে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর