ভারত সফরটা একদম বাজে কেটেছিল মোস্তাফিজুর রহমানের। তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেও কোনো উইকেট নিতে পারেননি। প্রতিটি ম্যাচেই রান বিলিয়েছেন দেদারসে। আর বঙ্গবন্ধু বিপিএলে নিজ দল রংপুর রেঞ্জার্সের প্রথম ম্যাচে ২ উইকেট পেলেও সাশ্রয়ী বোলিং দেখাতে পারেননি মোস্তাফিজ। ৪ ওভারে ৩৭ রান খরচ করেন এই বাঁহাতি পেসার। যদিও বল হাতে তার শুরুটা ছিল দারুণ। নিজের প্রথম ২ ওভারে দিয়েছিলেন ৬ রান। তৃতীয় ওভারে ৬ রান।
এতে তিন ওভারে তার ফিগার ছিল ২/১২। কিন্তু নিজের চতুর্থ দিলেন ওভারে ২৬! দাসুন শানাকা প্রথম বল মিসের পর টানা চার বলে চার ৬ হাঁকান। এর মধ্যে ফ্রি হিটে একটি। ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শানাকা। ৩১ বলে ৯ ছক্কা আর ৩ চারে ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক। এতে ইনিংস শেষে কুমিল্লার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭৩/৭-এ। শেষ দুই ওভারেই ৪৯ রান তোলেন শানাকা। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং নেয় কুমিল্লা। কিন্তু মোহাম্মদ নবীর করা প্রথম ওভারের প্রথম বলেই বোল্ড হন ইয়াসির আলী। সদ্য এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী তারকা সৌম্য সরকারের শুরুটা ছিল দারুণ। কিন্তু ইনিংস বড় করতে দিলেন না মোস্তাফিজ। নিজের প্রথম ওভারেই সৌম্যকে তুলে নেন তিনি। ১৮ বলে ৪ চার ও এক ছক্কায় ২৬ রান করেন সৌম্য। মোস্তাফিজ ১৩তম ওভারে আবার বল হাতে নেন। এবার তার শিকারে পরিণত হন সাব্বির রহমান। ১৭ বলে ১৯ রান করেন সাব্বির। এদিন স্পিনার সঞ্জিত সাহাও ভালো বোলিং করেন। ৪ ওভারে ২৬ রানে তার শিকার দুই উইকেট। ভানুকা রাজাপাকসে (১৩ বলে ২৫) ও ডেভিড মালানের (২৩ বলে ২৫) উইকেট নেন সঞ্জিত।
অধিনায়কের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বল হাতে ৩ ওভারে ১৪ রান দেন মোহাম্মদ নবী। জাতীয় দলের আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ ছিলেন খরুচে। ২ ওভারে ২৩ রান দেন তাসকিন। ইংলিশ অলরাউন্ডার লেভিস গ্রেগরি নেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও আবু হায়দার রনির উইকেট। ৪ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন পাকিস্তানি পেসার জুনায়েদ খান।