এক দশক পর ঘরের মাটিতে টেস্ট খেলতে নামলো পাকিস্তান। প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘোষণা করলো চমক জাগানিয়া একাদশ। বোলিং বিভাগে নেই কোনো স্বীকৃত স্পিনার। চার পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ আব্বাস, নাসিম শাহ ও উসমান শিনওয়ারির ওপর দায়িত্ব তুলে দিলো থিঙ্ক ট্যাংক। ১৯৯৫ সালে এই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই শেষবার ঘরের মাঠে স্পেশালিস্ট স্পিনার ছাড়া খেলেছিল দলটি। শিয়ালকোটে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে রমিজ রাজার নেতৃত্বধীন পাকিস্তান হারে ১৪৪ রানে। গতকাল রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম দিনের লড়াইটা সমান সমান। দিন শেষে সফরকারী শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২০২/৫।
আলোকস্বল্পতার কারণে ২২ ওভার কম খেলা হয় প্রথমদিনে। ২০০৯ এ লাহোর টেস্ট চলাকালীন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের টিস বাসে বন্দুক হামলা হয়। তাতে পাকিস্তান ক্রিকেটে নেমে আসে দুর্দিন। এরপর কোনো দেশই পাকিস্তানে এসে টেস্ট খেলতে রাজি হয়নি। অবশেষে শ্রীলঙ্কাই সহয়তার হাত বাড়িয়ে দেয়। পাকিস্তানি ক্রিকেটভক্তরা কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুল করেনি। গতকাল রাওয়ালপিন্ডির গ্যালারিতে দেখা গেছে অনেকগুলো ‘থ্যাঙ্ক ইউ শ্রীলঙ্কা’ লেখা ব্যানার।
ঐতিহাসিক ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে। প্রথম সেশনে দাপট ছিল তাদেরই। ওশাদা ফার্নান্দোকে নিয়ে ৮৯/০ তোলে লাঞ্চ বিরতিতে যান করুণারত্নে। তবে দ্বিতীয় সেশনে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। দলীয় ৯৬ রানে করুণারত্নেকে ফেরান শাহীন শাহ আফ্রিদি। ১১০ বলে ৫৯ রান করেন করুণারত্নে। ৩১ রানের ব্যবধানে আরো ৩ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ৪০ রান করে নাসিম শাহর শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওশাদা। কুসাল মেন্ডিসকে (১০) উইকেটের পেছনে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচ বানিয়ে টেস্টে প্রথম উইকেটের দেখা পান উসমান শিনওয়ারি। আর অভিজ্ঞ দিনেশ চান্ডিমালের (২) স্টাম্প উপড়ে ফেলেন মোহাম্মদ আব্বাস।
পঞ্চম উইকেটে ৬২ রানের জুটিতে বিপদ সামলান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস-ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। দলীয় ১৮৯ রানে ম্যাথিউসের (৩১) বিদায়ে ভাঙে এ জুটি। তার উইকেটটি নেন নাসিম শাহ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস: শ্রীলঙ্কা, ব্যাটিং
শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস: ৬৮.১ ওভারে ২০২/৫ (করুণারত্নে ৫৯, ওশাদা ৪০, ম্যাথিউস ৩১, ধনঞ্জয়া ৩৮*, ডিকওয়েলা ১১*; নাসিম ২/৫১)