× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ অবস্থান পদস্খলন হলে ঐতিহাসিকভাবে দেশটির অবস্থান দুর্বল হবে’

দেশ বিদেশ

কূটনৈতিক রিপোর্টার
১২ ডিসেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ভারত ঐতিহাসিকভাবে একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। সেখান থেকে পদস্খলন হলে দেশটির ঐতিহাসিক অবস্থান দুর্বল হয়ে যাবে। ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার এসব কথা বলেন। গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপে মার্কিন দূতকে উদ্বৃত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রদূত মিলার বলেছেন যে, তারা ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। ভারত ধর্মভিত্তিক যে নাগরিকত্ব বিল সমপ্রতি পাস হয়েছে এ সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন, ভারত এই বিল অনুমোদন করে নিজের অবস্থানকে দুর্বল করছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র বক্তব্যে ‘প্রতিবেশী বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন না থামার কারণে ভারত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি এনেছেন’- মর্মে যে কথাটি এসেছে সেই প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি কথাটি সত্য নয়। আমাদের দেশে সংখ্যালঘু ও ধর্মীয় নির্যাতন হয় না। আমাদের দেশে ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।
এখানে অন্য ধর্মের কেউ নির্যাতিত হয় না। এখানে সব ধর্মের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে।’ ড. মোমেন আরও বলেন, আমাদের সরকারের অনেক বড় বড় সিদ্ধান্ত নেয় অন্য ধর্মের লোক। আমরা তাদের বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে একই দৃষ্টিতে দেখি। কে কোন ধর্মের, সেটা আমরা বিচার করি না। বিচার করি যে, সে বাংলাদেশের নাগরিক কি-না? বা তার যোগ্যতার মাপকাঠি কি? আমাদের সবধরনের চাকরি-বাকরিতে সব ধর্মের লোক রয়েছে। তাদের আমরা অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে দেখি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হচ্ছে বলে যারা ভারতকে বুঝিয়েছেন তারাও সত্য বলেননি। আমি আশা করবো, বাংলাদেশে যারা সংখ্যালঘু নেতৃত্বে রয়েছে তারাই এ বিষয়ে কথা বলবেন, স্টেটম্যান্ট দিবেন। মন্ত্রী এ-ও বলেন, ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ। দুই দেশের মধ্যে এখন অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক চলছে; যা সোনালী অধ্যায় নামে পরিচিত। বাংলাদেশের মানুষ আশা করে, ভারত এমন কিছু করবে না যা আমাদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়।
সুচির নৈতিক অধ:পতনে দুঃখ পেয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী: অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির অধঃপতনে ব্যক্তিগতভাবে আমি দুঃখ পেয়েছি। তিনি আশা করেন সুচির দিব্যজ্ঞান হবে। তিনি তার অবস্থান থেকে সরে আসবেন। ড. মোমেন বলেন, নোবেলবিজয়ী অং সান সু চির মুক্তির দাবিতে আমি নিজেও বিক্ষোভ করেছি। রাজপথে ব্যনার নিয়ে দাঁড়িয়েছি। তিনি গণতন্ত্রের আইকন ছিলেন। তবে, এখন তার অবস্থান দুঃখজনক। মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা গণহত্যা বিচারে আইসিজেতে (আন্তর্জাতিক বিচার আদালত) গাম্বিয়া লড়াই করছে। তাদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করি আমরা।
ভিসা সহজ করা এবং বঙ্গবন্ধুর খুনিকে ফেরাতে রাষ্ট্রদূতের প্রতি অনুরোধ: ওদিকে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। বুধবার মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী বলেন, আমি রাষ্ট্রদূতকে বলেছি আমাদের দেশের অনেক লোক ভিসা নিয়ে আমেরিকা যেতে চায়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রক্রিয়া অনেক জটিল, যা খুবই দুঃখজনক। আমাদের দেশের যারা যুক্তরাষ্ট্রে বেড়াতে যান বা যারা ওখানে গিয়ে থাকতে চায় তারা তো কোন ধরনের ঝামেলা করে না। তাই আমাদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা হোক। জবাবে রাষ্ট্রদূত কি বলেছেন তা মন্ত্রী অবশ্য খোলাসা করেননি। ড. মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত একজন খুনি পালিয়ে আছে। তাকে ফিরিয়ে দেয়ার কথা আজকেও রাষ্ট্রদূতকে বলেছি। আইনের শাসন নিশ্চিতে তাকে ফেরত পাওয়া জরুরি। জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেছেন বিষয়টি মার্কিন বিচার ব্যবস্থা দেখছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর