× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ৮ মে ২০২৪, বুধবার , ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভারতীয় নাগরিকপঞ্জীর সমালোচনায় রানা দাসগুপ্ত

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১২ ডিসেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার

ভারতীয় পার্লামেন্টে সদ্য পাস হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধন বিলের প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের নাম যুক্ত করে ওই ‘৩ দেশে সংখ্যালঘুরা অত্যাচারিত’ হচ্ছে মর্মে যে অভিযোগ করা হয়েছে তাতে হতাশ বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা। সংখ্যালঘুদের সর্বোচ্চ সংগঠন ‘বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্যপরিষদে’র সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রানা দাসগুপ্ত ভয়েস অব  আমেরিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে  বলেন, ভারতীয় পার্লামেন্টে এই বিল পাসের মাধ্যমে বরং বাংলাদেশে হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনকারীরা আরো উৎসাহিত হবে। তিনি ধর্মীয় বিভাজনের ভিত্তিতে ভারতীয় নাগরিক পঞ্জি করার উদ্যোগেরও সমালোচনা করেন। মিস্টার গুপ্ত সেই সাক্ষাৎকারে তার নেতিবাচক মনোভাবে ব্যাখ্যা দেন। বলেন, বিলটি একান্তই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, তারপরও এটি নিয়ে আমি আমার নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করছি। কারণ ধর্মীয় বিভাজনের প্রেক্ষাপটে বিলটি সত্যিই আমাদের হতাশ করেছে। এটা সত্য যে তারা যেটা বলছেন, বাংলাদেশে নির্যাতিত হিন্দুরা ভারতে গেছে, এটা সত্য। কিন্তু বিলটি আনার কারণে এখন বাকীরাও যেতে উৎসাহিত হবে।
ফলে যদি সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশ সংখ্যালঘু শূণ্য হয়ে পড়ে তবে তারাই খুশি হবে যারা একক ধর্মীয় রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে একাত্তরে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল। তারা এখন সেই স্বপ্নে ফের সংখ্যালঘুদের নির্যাতন ও বিতাড়নে উৎসাহিত হতে পারে। রানা দাস গুপ্ত মনে করেন, সামপ্রদায়িকতার সমস্যা, সমাধান সম্ভব নয়- সামপ্রদায়িকতার মাধ্যমে। ধর্মীয় বিভাজন সৃষ্টি করে কোন সমস্যার সমাধান কখনোই সম্ভব নয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর