× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নিহত ১, দগ্ধ ৩৪ /কেরানীগঞ্জে কারখানায় আগুন

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার ও কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি
১২ ডিসেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া হিজলতলা এলাকায় প্রাইম প্যাক্ট নামের একটি প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে একজনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছেন অন্তত ৩৪ জন। এর মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গতকাল বিকাল চারটার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট। তাদের ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এসময় স্থানীয়রাও আগুন নেভানো ও উদ্ধার কাজে অংশ নেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, কারখানায় একটি গ্যাসের পাইপের লিকেজ থেকে এই আগুনের সুত্রপাত হয়।
মুহুর্তেই আগুন সারা কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে শ্রমিকরা কিছু বুঝে উঠার আগেই আগুনের লেলিহান শিখায় দগ্ধ হতে থাকেন। দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। উদ্ধারকাজে অংশ নেয় পুলিশ ও র‌্যাবের একটি দল। উদ্ধারকারীরা ভবনের ভেতর থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার পরিচয় জানা যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস-৬ এর উপপরিচালক কাজী নাজমুজ্জামান জানান, ধারণা করা হচ্ছে গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে। আগুনে কারখানার কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এই মুহুর্তে বলা যাচ্ছে না। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রামানন্দ সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয়রা জানান, কারখানাটিতে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের মগ ও প্লেট তৈরি করা হতো। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাজামান সাংবাদিকদের বলেন, ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তর, ঢাকার পোস্তগোলা ও কেরানীগঞ্জের ১০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পুলিশ ও র?্যাব সদস্যরাও ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজে অংশ নেন। ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি হওয়া দগ্ধ রোগী ও তাদের স্বজনরা জানিয়েছে, কারখানাটিতে কিছু মেরামতের কাজ চলছিল। এ অবস্থায় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, মেডিকেল বোর্ড গঠন করে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।

তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হবে। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম মানবজমিনকে বলেন, এখন পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলে এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে প্রায় ৩৪ জন রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে কেউ গুরুতর দগ্ধ, কারও সামান্য পুড়েছে। কেউ কেউ চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. এফ এম আরিফুল ইসলাম নবীন জানান, আহতদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা ৫০ ভাগের বেশি দগ্ধ হয়েছেন। হাসপাতালের রেজিস্টার থেকে আহত যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন, আব্দুল হাই, সাজুল, আলম, সালাউদ্দিন, আবু সাইদ, সাখাওয়াত, খালেদ, বশির, জাহাঙ্গীর, বাবুল, খায়রুল, সোহান, দিদারুল, জিসান, ইমরান, আসলাম, ফিরোজ, সাজুল, আলম, সালাউদ্দিন, মোসতাকিম, মফিজুল, সোহাগ, জাকির, বিরাজ, আহসান, ওমর ফারুক, সুজন, দুর্জয়, মেহেদী, লাল মিয়া। আহতদের অধিকাংশের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর