× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দীঘি আগে না রাস্তা আগে ?

অনলাইন


(৪ বছর আগে) ডিসেম্বর ১১, ২০১৯, বুধবার, ১১:২৩ পূর্বাহ্ন

কক্সবাজার পর্যটন রাজধানী হিসাবে যেন সারা বাংলাদেশেরই প্রতিনিধিত্ব করে। এখানে শীত মৌসুমে পর্যটকদের ভীড় লেগেই থাকে, প্রতিদিন লক্ষাধিক পর্যটকের আগমন ঘটে। অন্যান্য ঋতুতেও পর্যটকদের আগমন নেহায়েত কম নয়। দৈনিক কমপক্ষে ২০ হাজার পর্যটকের আগমন ঘটে। এখানে পাহাড়ের চূড়ায় আর সমুদ্রের তীরে দড়িয়ে সূর্যাস্ত খো যায় এবং বাঁকখালী নদীতে জোৎস্না রাতে নৌকা ভ্রমনও অনেক আনন্দের। তাই দেশের পর্যটক ও বিদেশী পর্যটকদের জন্য কক্সবাজার একটি বিনোদনের প্রিয় স্থান। কক্সবাজারের এই সৌন্দর্য্য বর্ধন ও অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে কক্সবাজার পৌরসভা। কক্সবাজার মিউনিসিপালিটি গঠিত হয় ১৮৬৯ সালে।
এবং ১৯৫৯ ইং সালে কক্সবাজার মিউনিসিপ্যালিটির নাম পরিবর্তন করে টাউন কমিটি করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে টাউন কমিটির নাম পরিবর্তন করে কক্সবাজার পৌরসভা করা হয়।

পর্যটকদের জন্য যত আকর্ষণীয় স্থান বেশীর ভাগ কক্সবাজার পৌরসভাধীন অথবা কক্সবাজার পৌরসভার অদূরেই। তাই শহর পরিস্কার রাখা পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীদের জন্য অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে াড়ায়। কক্সবাজার পৌরসভায় বর্তমানে দ্বিতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ (সেক্টর) প্রকল্পেরকাজ চলমান। আশা করা যায় এ প্রকল্পটি কক্সবাজার পৌরসভাকে একটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন নগরী হিসাবে গড়ে তুলবে। ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযাযায়ী কক্সবাজার পৌরসভার লোকসংখ্যা ১,৬৭,৪৭৭ জন। বর্তমানে বেড়েছে আরো বহুগুণে। জন সংখ্যার ঘনত্ব নেহায়ত কম নয়। ১টি মেডিকেল কলেজ, ২টি সরকারি কলেজ, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। ১১৪ কি: মি: রাস্তার মধ্যে কার্পেটিং, এইচ বি বি, সিসি/আরসিসি, ব্রীজ ও কালভার্ট রয়েছে অসংখ্য। কক্সবাজার শহরে বসবাসরত ও পর্যটকরে চলালের জন্য বৃত্তীয় রাস্তা দ্বারা বেষ্টিত। কিন্ত দূঃখের বিষয় গত বর্ষা মৌসুমে শহরের একমাত্র চলাচলের রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হলে রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নিলে ও এখন পর্যন্ত কাজ শুরু করতে পারেনি কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।

পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলায় উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা। কক্সবাজার শহরের যানজট নিরসনের লক্ষ্যে হলিডে মোড় -বাজারঘাটা- লারপাড়া (বাস টার্মিনাল) রাস্তা সংস্কার, আলোকসজ্জাসহ প্রশস্থকরণ প্রকল্প (গৃহিত)। ও কক্সবাজার শহরের ঐতিহ্যবাহী লালদীঘি, গোলদীঘি, বাজারঘাটা পুকুরের যাবতীয় সংস্কারসহ সৌন্দর্য্যবর্ধন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে উন্নয়ন কতৃপক্ষ। ঐতিয্যবাহী দীঘিগুলোর সংস্কার কাজ চলমান থাকলে ও এখনো পর্যন্ত মূলত ও একমাত্র চলাচলের রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু করতে পারেনি। ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে প্রতিনি শিক্ষার্থী, রোগী, প্রতিবন্ধী, নারী-শিশু সহ সাধারণ পথচারীদের চলাচল করতে হয়।

প্রায় প্রতিদিনের নৈমিত্তিক জিকিরে পরিনত হয়েছে দীঘি আগে না রাস্তা আগে?? যি রাস্তায় আগে হয় তাহলে দীঘির কাজ চলমান হলেও শহরের একমাত্র চলাচলের রাস্তা সংস্কার কবে শুরু হবে? নাকি গত বর্ষা মৌসুমের মতো টমটম/রিস্কা উল্টে মানুষ আহত না হল টনক নড়বে না ? বর্তমান শুষ্কমৌসুমে ও গাড়ী/টমটম/রিস্কা তোূরের কথা মানুষ পায়ে হেটে চলতে ও উষ্ঠা খেয়ে পড়তে হয়।

কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়নের মহাযজ্ঞ চলছে। মহেশখালী-মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প, দোহাজারী - কক্সবাজার রেললাইনসহ আরও কয়েকটি বড় প্রকল্প নিয়ে বর্তমানে একশ’ হাজার কোটি টাকার ৪০টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে।

দীঘির সংস্কার করতে গিয়ে শহরে বসবাসকারী জনসাধারণের চলাচল বিঘিœত না করে সরকারের গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পকে প্রশ্নবিদ্ধ না করে দ্রুত রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন করে বর্তমান উন্নমূখী সরকারের গৃহিত প্রকল্প বাস্তবায়ন পূর্বক কক্সবাজার জেলাকে বাসযোগ্য নগরী হিসেবে বিশ্ববাসীর কাছে সুর-উন্নত-পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে বিশ্বের রবারে মাথা উঁচু করোঁড়াবে বলে আশা করছি।

বাহাউদ্দীন বাহার, উন্নয়ন কর্মী
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর