× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ৮ মে ২০২৪, বুধবার , ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অবশেষে পদত্যাগে বাধ্য হলেন মুসলিম অধ্যাপক

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) ডিসেম্বর ১২, ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:৪৭ পূর্বাহ্ন

ভারতের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিদ্যা ধর্ম ব্যাঞ্জন বিভাগের সাহিত্য বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেয়া মুসলিম শিক্ষক পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। সংস্কৃত বিভাগে একজন মুসলিম শিক্ষকের যোগদানকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বেশ কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ করছিলেন কিছু শিক্ষার্থী। এই বিক্ষোভের প্রেক্ষিতেই পদত্যাগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগে সংস্কৃত বিষয়ে পড়ানোর আবেদন করেছেন ফিরোজ খান নামে ওই শিক্ষক। এ খবর দিয়েছে দ্য হিন্দু।

বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর ছাত্র সংগঠন আখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের কিছু সদস্য ও শিক্ষার্থী ৭ নভেম্বর থেকে ফিরোজ খানের নিয়োগের বিষয়ে প্রতিবাদ করে আসছিলেন। তাদের দাবি, ফিরোজ খান ওই বিভাগে পড়ানোর অযোগ্য, কেন না তিনি মুসলিম। তবে ১০ দিন ধরে নিজেদের ধর্না স্থগিত রেখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল বিক্ষোভরত হিন্দু শিক্ষার্থীরা। পরে আবার গত সপ্তাহ থেকে আন্দোলন শুরু করে তারা।
বিভাগের ডিন অধ্যাপক কৌশলেন্দ্র পান্ডে বলেন, ফিরোজ খান এখান থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি সংস্কৃত বিভাগে পড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
তিনি এই বিভাগে কিছু কারণে পড়াতে পারেননি। তবে তার সামনে ৩টি সুযোগ ছিল। এর মধ্যে সেরা সুযোগই তিনি বেছে নিয়েছেন।

এ ব্যাপারে অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনও বক্তব্য দেয়নি।
এদিকে একই অনুষদের সাহিত্য বিভাগের দলিত সহকারী অধ্যাপক শান্তিলাল সালভি দাবি করেছেন, তাকে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা আক্রমণ করেছে। ফিরোজ খানের পক্ষে যে অল্প কয়েকজন শিক্ষক কথা বলেছেন, তাদের মধ্যে একজন সালভি। তার এই অভিযোগের দিনই ফিরোজ খানের পদত্যাগের প্রসঙ্গ আসলো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর