রোহিঙ্গারা বিশ্বাস করেন অং সান সুচি গণহত্যার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করলেও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এর বিরুদ্ধে রায় দেবেন হেগে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের (আইসিজে) বিচারকরা। বুধবার এই আদালতে সেই সেনাবাহিনীর পক্ষে ওকালতি করেন সুচি, যারা তাকে ১৫ বছর গৃহবন্দি করে রেখেছিল। এ সময় তিনি রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন। সুচি আদালতে বলেন, বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ‘মুসলিমরা’ প্রতিবেশী বাংলাদেশে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। ২০১৭ সালে সেনাবাহিনী বেসামরিক ব্যক্তিদের হত্যা, নারীদের ধর্ষণ ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে। এ অভিযোগ বেমালুম অস্বীকার করেন তিনি। তার এমন বক্তব্যের জবাবে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোহিবুল্লাহ বলেছেন, সুচির দাবি কোনো গণহত্যা হয়নি। তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বিশ্ব তার এ দাবির বিচার করবে।
কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প থেকে তিনি বার্তা সংস্থা এপি’কে এসব কথা বলেন। মোহিবুল্লাহ আরো বলেন, কোনো চোর কখনো চুরির কথা স্বীকার করে না। কিন্তু তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ন্যায়বিচার দেয়া যায়। আমাদের কাছ থেখে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছে বিশ্ব। সুচি মিথ্যা বললে তাকেও ছেড়ে দেয়া উচিত হবে না। তাকে অবশ্যই ন্যায়বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। তার বিরুদ্ধে বিশ্বকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
কুতুপালংয়ে আরেকজন শরণার্থী নূর কামাল প্রত্যাখ্যান করেন অং সান সুচির বক্তব্য। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী লোকজনকে ঘেরাও করে রাখে। তারপর তাদের ওপর প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। আগুন দিয়ে পোড়ায়। এটা কি গণহত্যা নয়? সুচি বললে তাই কি সত্য হয়ে যাবে? বিশ্ব এমন বক্তব্য গ্রহণ করবে না। আমাদের ওপর কি মাত্রার নির্যাতন হয়েছে তা দেখেছে বিশ্ব। এখনও এই নির্যাতন চলছে।