সাভারের আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা থেকে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে প্রতারক চক্রের ১২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী জব্দ করা হয় এবং প্রতারণার শিকার ১০৪ জন পুরুষ ও নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সকালে র্যাব-৪ নবীনগর ক্যাম্পের সিপিসি-২ এর কমান্ডার মেজর শিবলী মোস্তফা ও সিনিয়র এএসপি উনু মং এর নেতৃত্বে জামগড়া, ভূঁইয়া ন্যাশনাল প্লাজা-৩ এর ২য় তলায় অবস্থিত এন ডি বি ইন্টারন্যাশনাল লিমেটেড নামক এমএলএম কোম্পানিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার সিমলা গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে মো. মেহেদী হাসান (৩০), বগুড়া জেলার গাবতলী থানার জামিরবারিয়া গ্রামের মো. রশিদের ছেলে মো. রায়হান (২৫), কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার দক্ষিণ মাইচ পাড়া গ্রামের বিস্ট পদ দের ছেলে জিসু কান্তি দে (২০), রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার বাগদুল গ্রামের মৃত আলী আকবরের ছেলে মো. আকাশ (২২), দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ থানার জাবারীপুর গ্রামের ধীরেন রায়ের ছেলে প্রদিপ (২১), রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার আচুঘা গ্রামের মো. জালাল উদ্দিনের ছেলে মো. মারুফ হোসেন (২৩), রাজশাহী জেলার বাগমারা থানার সাজুরিয়া গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে আল আমিন (২২), বড়গুনা জেলার আমতলী থানার বালিয়াতলি গ্রামের মৃত আঃ রাজ্জাকের ছেলে মো. সোহেল (২৫), টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর থানার ঝাওয়াইল গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে আরিফুল (২২), ঠাকুরগাঁও জেলার সদর থানার দেওগাঁ গ্রামের গপেশ সরমার ছেলে জয়ন্ত সরমা (২১), ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া থানার বনিকোপাড়া গ্রামের শেখ দসাহাবুদ্দিনের ছেলে মো. রায়হান (২০) ও টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থানার বাশুদেব বাড়ি গ্রামের জোয়াত আলীর ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম (২২)। র্যাব-৪ নবীনগর ক্যাম্পের সিপিসি-২ এর কমান্ডার মেজর শিবলী মোস্তফা বলেন, সুযোগ সন্ধানী কিছু অসাধু প্রতারক চক্র চাকরি দেয়ার নাম করে বিভিন্ন শ্রেণীর সাধারণ জনগণের সরলতার সুযোগ নিয়ে প্রতারণা করে আসছে। তারা সহজ সরল নিরীহ লোকজনকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে সামাজিক অস্থিরতা তৈরী করছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে সকালে সাভারের জামগড়া এলাকার এন ডি বি ইন্টারন্যাশনাল লিমেটেড নামক একটি এমএলএম কোম্পানিতে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। এসময় প্রতারণার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ১২ জনকে গ্রেপ্তার এবং প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।
এছাড়াও ওই কোম্পানির মাধ্যমে প্রতারণার শিকার ১০৪ জনকে উদ্ধার করা হয়।