× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গাজীপুরে ডায়রিয়ার প্রকোপ, ৫ জনের মৃত্যু

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর থেকে
১৩ ডিসেম্বর ২০১৯, শুক্রবার

গাজীপুরে ডায়েরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে গত চারদিন ধরে প্রতিদিন শিশুসহ নানা বয়সী মানুষ আক্রান্ত হয়ে শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে  ভর্তি হচ্ছেন। এরই মধ্যে ডায়রিয়াজনিত কারণে মারা গেছেন একজন নারীসহ অন্তত ৫ জন মারা গেছেন বলে স্থানীয়রা দাবি করছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চারজনকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। তারা হলেন- নগরের ছোট দেওড়া এলাকার আব্দুল মজিদ (৪০) মোফাজ্জল (২২), পাশবর্তী সামন্তপুর এলাকার নুরুল ইসলাম ও চা বাগান এলাকার ফিরোজ (২৩)। বৃহস্পতিবার  সন্ধ্যা পর্যন্ত এই হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৯৪ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এ নিয়ে গত ৪ দিনে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন  ৩ শতাধিক রোগী। তাদের অধিকাংশই মনে করছেন, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে আক্রান্ত হয়েছেন।
এ অবস্থায় বিশুদ্ধ পানি পান ও নিয়ম মেনে খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। স্থানীদের দাবি, নগরের পূর্ব চান্দনা ও কাজী বাড়ি এলাকায় গত কয়েকদিনে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন অন্তত ৫ জন। তারা হলেন- কামরুন নাহার (৩০), সুমা (৩০), আব্দুল জব্বার (৬০), সালাম (৬০) ও নাহিদ ৪মাস। এদিকে, হঠাৎ করে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন নার্স ও চিকিৎসকরা। নগরের পূর্ব চান্দনা, ছোট দেওড়া, ছায়াবীথি এলাকাসহ যেসব এলাকায় প্রকোপটা দেখা দিয়েছে, সেসব এলাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি অফিসের একটি প্রতিনিধিদল পরিদর্শনে গেছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আবহাওয়া পরিবর্তন ও খাদ্যে বিষক্রিয়ায় এর প্রকোপ বেড়েছে। তবে চিকিৎসকগণ বলছেন, মহামারি আকার ধারণ করার কোন পরিস্থিতি নেই এবং উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কারণও নেই। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক কর্মকর্তা ডা. প্রণয় কুমার ভুষণ এ বিষয়ে বলেন, হাসপাতালে যারা ভর্তি আছেন তাদের শারীরিক অবস্থা অনেকটাই স্বাভাবিক। তাদের পর্যাপ্ত ওষুধ ও স্যালাইন দেয়া হচ্ছে।
ডাক্তার ও নার্সও রয়েছেন পর্যাপ্ত সংখ্যক। এখন পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।  
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর