ফরিদগঞ্জ আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে উপজেলা পরিষদ কার্যালয় এর চত্বর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা চলছিল। সভা বন্ধ করে, সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ এক পর্যায়ে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে পুলিশের এসআই নাজমুল ইসলাম সুজনসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে। এমপি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পণ্ড হয়ে গেছে মাসিক সমন্বয়, আইনশৃংখলা বিষয়ক সভা ও অন্যান্য কার্যক্রম।
সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা আইনশৃঙ্খলা বিষয়কসভা শুরু হয়। সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য খাজে আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন।
তাকে সভা থেকে বের করে দেয়ার জন্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম রোমান এর সমর্থকরা বাইরে মিছিল ও হট্টগোল করেন। এতে এমপির অনুসারীদের মধ্যে তর্কবিতর্ক ও হাঙ্গামার সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় এলাকা। চাঁদপুর থেকে ছুটে যান অতিরিক্ত এসপি মিজানুর রহমান। প্রায় দুই ঘণ্টা পর সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ লাঠিচার্জসহ ৬ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এতে সংঘর্ষকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। বেলা ১টা নাগাদ পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।
এদিকে, মুহম্মদ শফিকুর রহমান এমপি সংঘর্ষের জন্য এ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম রোমানকে দায়ী করে বলেন, চেয়ারম্যান ধমক দিয়ে বলেছে তার অনুমতি ছাড়া আমি মাসিক সমন্বয় সভায় কেনো আসলাম। জবাবে সংঘর্ষের জন্য এমপিকে পাল্টা দায়ী করেন চেয়ারম্যান। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ যাবত তাদের পাল্টাপাল্টি কথা হয়। এক পর্যায়ে ইউএনও ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনুরোধ করে বলেন, আজ আর সভা হবে না। তারপর, এমপি ইউএনও অফিস চত্বর ত্যাগ করেন। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, সংঘর্ষ থামাতে আমাদের পুলিশ বাহিনী যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। ছয় রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপের কথা স্বীকার করে বলেন, আপাতত পরিস্থিতি শান্ত ও অফিস এলাকায় প্রয়োজনীয় পুলিশ সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে।