গ্যাবায় পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ১৮৫ রানের পর অ্যাডিলেডে দিবারাত্রির টেস্টে ১৬২ করেছিলেন মারনাস লাবুশেন। গতকাল পার্থে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে খেললেন ১১০* রানের ইনিংস। তাতে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ইতিহাসে মাত্র অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে টানা তিন শততের কৃতিত্ব দেখালেন লাবুশেন। সবশেষ ২০১৫-১৬ মৌসুমে এমনটা করে দেখিয়েছিলেন অ্যাডাম ভোজেস। লাবুশেনের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ২৪৮/৪ (৯০ ওভার) তুলে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে অস্ট্রেলিয়া। তিন নম্বরে নেমে টানা তিন সেঞ্চুরি হাঁকানো লাবুশেন ১২ টেস্টে পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলেছেন ৮টি। গতকাল অস্ট্রেলিয়ার ফক্স স্পোর্টস লিখেছে ‘ও যেন স্মিথ ভার্সন-২।’ তবে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ১৮ ইনিংসের পরিসংখ্যানে স্মিথের চেয়েও ভালো লাবুশেন। প্রথম ১ হাজার রান করতে স্মিথের লেগেছিল ৩৩ ইনিংস।
তার চেয়ে ১৬ ইনিংস কম লাগলো লাবুশেনের। গতকাল লাবুশেন ব্যক্তিগত ৯০ রানের সময়ই এক হাজারি ক্লাবে ঢুকে যান। এ তালিকায় সবার আগে স্যার ডন ব্র্যাডম্যান (১৩), এরপর রয়েছেন নিল হার্ভে (১৪), সিড বার্নস (১৭)। ১০০০ ছুঁতে লাবুশেন, হার্ব কলিনস, ডাগ ওয়াল্টার্স, মার্ক টেলর ও অ্যাডাম ভোজেস প্রত্যেকের লেগেছে ১৮ ইনিংস।
পার্থের নতুন অপটাস স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং নেন অজি অধিনায়ক টিম পেইন। দলীয় ৪০ রানে তারা হারায় জো বার্নসকে। ৪২ বলে ৯ রান করে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের এলবি’র ফাঁদে পড়েন বার্নস। দলীয় ৭৫ রানে বিদায় নেন আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারও। ৭৪ বলে ৪৩ রান করা ওয়ার্নারের উইকেটটি নেন নিল ওয়াগনার। এরপর সাবেক অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে ১৩২ রানের জুটি গড়েন লাবুশেন। মিচেল স্যান্টনারের করা ৭৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে পূর্ণ করে ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক। পরের ওভারেই আউট হন স্মিথ। ১৬৪ বলে ৪৩ রান করে ওয়াগনারের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। দিনের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন ম্যাথু ওয়েড (১২)। তাকে সরাসরি বোল্ড করেন টিম সাউদি। ট্রাভিস হেডকে নিয়ে দিনের বাকিটা সময় পার করেন লাবুশেন। ২০২ বলে ১৪ চার ও এক ছক্কায় লাবুশেন ১১০ আর হেড ৩৪ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্টে দ্রুততম ১০০০ রাননাম ইনিংস
ডন ব্র্যাডম্যান ১৩
নিল হার্ভে ১৪
সিড বার্নস ১৭
হার্ব কলিনস ১৮
ডাগ ওয়াল্টার্স ১৮
মার্ক টেলর ১৮
অ্যাডাম ভোজেস ১৮
মারনাস লাবুশেন ১৮*