× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিমানে আনা পিয়াজের ভাড়া কেজিতে ১৫০-বাণিজ্যমন্ত্রী

শেষের পাতা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১৩ ডিসেম্বর ২০১৯, শুক্রবার

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ঘাটতি মেটাতে উড়োজাহাজে করে পিয়াজ আমদানিতে প্রতিকেজির ভাড়া পড়েছে ১৫০ টাকা। অর্থাৎ পিয়াজের দাম বাদ দিয়ে শুধু পরিবহন খরচই ১৫০ টাকার মতো   লেগেছে। তারপরও মানুষের উপকার করার জন্য সরকার প্লেনে পিয়াজ এনেছে। যোগান যদি ঠিক থাকতো তাহলে এত দাম বাড়তো না। গতকাল রাজধানীর টিসিবি ভবনে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন আয়োজিত ‘ব্যবসায়ী ও ক্রেতার স্বার্থ সংরক্ষণে বাজারে সুষ্ঠু প্রতিয়োগিতা নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মো. মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য শামসুল আলম, বাণিজ্যসচিব মো. জাফর উদ্দীন, এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম এবং প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য মো. আবদুর রউফ বক্তব্য রাখেন। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।

পিয়াজের দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীদের অভিযুক্ত করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায় মুনাফা কতটা করা যাবে, তার কোনো মানদণ্ড নেই। কিন্তু ২৯শে সেপ্টেম্বর ভারত পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার পর সন্ধ্যায় ঢাকায় পিয়াজের দাম দ্বিগুন হয়ে যায়।
রপ্তানি ঘোষণার বন্ধের পরে এই পিয়াজ আসেনি। এ পিয়াজ তো আমদানি হয়েছে আগে। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিয়েছে। তাদের যখন ধরা হয়, তারা বলেন, এখন সুযোগ পেয়েছেন বলে লাভ করেছেন। যখন লোকসান হয়, তখন তো কেউ খোঁজ নিতে আসে না।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকলে ব্যবসার ভিত্তি ভালো হয়। কেউ প্রতিযোগিতায় না আসলে সিটি সেলের মতো হারিয়ে যাবেন। একসময় মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি সিটি সেলের কোনো প্রতিযোগী ছিল না। তারা একচেটিয়া ব্যবসা করেছে। এখন তারা হারিয়ে গেছে। তিনি বলেন, প্রত্যেক ব্যবসায় প্রতিযোগিতা থাকা ভালো। তবে প্রতিযোগিতার আগে যদি অশুভ থাকে সেটা খুব ভয়ানক বিষয়।

বাণিজ্যমন্ত্রী মনে করেন, পিয়াজের দাম এমন একটা পর্যায়ে থাকা উচিত, যেখানে কৃষকের লোকসান হবে না। মানুষেরও ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। এ জন্য প্রতিযোগিতা কমিশনের কাজ করার আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বাজারে প্রচুর পিয়াজ আসতে শুরু করেছে। এতে দামও কমছে।

বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাজারে প্রতিযোগিতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে ভোক্তা ও প্রতিষ্ঠান উভয়ের দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ বিষয়ে মাঠপর্যায়ে বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এমন প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করা যাবে না, যে ক্ষেত্রে পণ্যের মান ও বাজারে সমস্যা হয়।

টিপু মুনশি বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশে ধর্মীয় উৎসবের সময় পণ্যের মূল্য কমিয়ে ভোক্তাদের সহযোগিতা করা হয়। আমাদের দেশে রমজান মাস এলেই অনেক পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যায়। এ অবস্থা মোকাবিলায় ভোক্তাদেরও সচেতন থাকতে হবে। উৎপাদনকারীগণ উপযুক্ত মূল্য না পেলে পিয়াজ উৎপাদনে উৎসাহ হারাবেন। উৎপাদন বাড়িয়ে ভোক্তাদের জন্য ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হবে।

শামসুল আলম এবারের পিয়াজের মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা তথ্যের ঘাটতির জন্য হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, পিয়াজের উৎপাদন ১৮ লাখ টনের বেশি হবে না। পিয়াজের আমদানিকারক ২৫০ থেকে ৩২০ জন। এত লোক মিলে সিন্ডিকেট করা যায় না। এবার কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর বলেছে, পিয়াজের উৎপাদন ২৩ লাখ ৩০ হাজার টন। অন্যদিকে পরিসংখ্যান ব্যুরো বলেছে, উৎপাদন ১৮ লাখ টন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর