× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

স্মরণ /চলে যাওয়ার এক বছর

বিনোদন

স্টাফ রিপোর্টার
১৪ ডিসেম্বর ২০১৯, শনিবার

দেশীয় চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, অভিনয়শিল্পী ও লেখক আমজাদ হোসেনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। নানা আয়োজনে দিনটি স্মরণ করবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি। এই সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। দিনভর নানা আয়োজনে গুণী এ চলচ্চিত্রকারকে স্মরণ করার পরিকল্পনার কথা জানালেন পরিচালক সমিতির কার্য নির্বাহী সদস্য অপূর্ব রানা। তিনি বলেন, এফডিসির ভিআইপি প্রোজেকশন হলে আজ সকালে কোরআন খতম, স্মরণ সভা, জোহরের পর মিলাদ ও সবশেষে তবারক বিতরণ করা হবে। এদিকে আমজাদ হোসেনের বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল বলেন, জামালপুর আমজাদ হোসেন চর্চাকেন্দ্র, উদীচীসহ ৭০টি সংগঠন থেকে আজ একটা বড় আয়োজন থাকছে। বাবার স্মরণে জামালপুর শহরে শোকর‌্যালিসহ তার কবরে ফুল দিয়ে সম্মান জানাবে এসব সংগঠন। গত বছরের এই দিনে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আমজাদ হোসেন।
তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। উল্লেখ্য, আমজাদ হোসেনের জন্ম ১৯৪২ সালের ১৪ই আগস্ট জামালপুরে। শৈশব থেকেই তার সাহিত্যচর্চা শুরু। পঞ্চাশের দশকে ঢাকায় এসে সাহিত্য ও নাট্যচর্চার সঙ্গে জড়িত হন। প্রথমেই তিনি অভিনয়ে নিজেকে তুলে ধরেন মহিউদ্দিন পরিচালিত ‘তোমার আমার’ চলচ্চিত্রে। এর পরপরই তিনি অভিনয় করেন মুস্তাফিজ পরিচালিত ‘হারানো দিন’ চলচ্চিত্রে। এক সময় জহির রায়হানের ইউনিটে কাজ শুরু করেন। এভাবেই দীর্ঘদিন কাজ করতে করতে ১৯৬৭ সালে তিনি নিজেই চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। নাম ‘জুলেখা’। এরপর নূরুল হক বাচ্চুর সঙ্গে যৌথভাবে নির্মাণ করেন ‘দুই ভাই’। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। উপহার দিয়েছেন কালজয়ী ও দর্শকপ্রিয় সব চলচ্চিত্র। তার পরিচালিত দর্শকপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে -‘বাল্যবন্ধু’, ‘পিতাপুত্র’, ‘এই নিয়ে পৃথিবী’, ‘বাংলার মুখ’, ‘নয়নমণি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘সখিনার যুদ্ধ’, ‘ভাত দে’, ‘হীরামতি’, ‘প্রাণের মানুষ’, ‘সুন্দরী বধূ’, ‘কাল সকালে’, ‘গোলাপী এখন ঢাকায়’, ‘গোলাপী এখন বিলেতে’ ইত্যাদি। গুণী এই পরিচালক ১৯৭৮ সালে ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ এবং ১৯৮৪ সালে ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক (১৯৯৩) ও স্বাধীনতা পুরস্কারেও ভূষিত করে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর