× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তামিম-থিসারায় ঢাকার জয়

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৪ ডিসেম্বর ২০১৯, শনিবার

প্রথম ম্যাচে ৫ রান করা তামিম দ্বিতীয় নিজেকে ফিরে পেলেন দ্বিতীয় ম্যাচেই। আজ কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে খেলেন ৭৪ রানের ঝকঝকে ইনিংস। থিসারা পেরেরা খেলেন ১৭ বলে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস।  তাতে আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ১৮০/৭ সংগ্রহ করে ঢাকা প্লাটুন। পরে বল হাতে ৫ উইকেট নেন থিসারা। তাতে ১৮১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৬০ রানে থামে কুমিল্লা।

কুমিল্লার হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন ডেভিড মালান। সৌম্য সরকার ৩৫ ও ওপেনার ভানুকা রাজাপাকসের ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন করেন ৩৭ রান।
৪ ওভারে ৩০ রানে দিয়ে ৫ উইকেট নেয়া থিসারা হন ম্যাচসেরা।

ঢাকার শুরুটা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। ইনিংসের প্রথম বলেই আউট হন এনামুল বিজয়। আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমানের বলে এলবির ফাঁদে পড়েন তিনি। দলীয় ২৬ রানে ঢাকা হারায় দ্বিতীয় উইকেট। ১৭ বলে ১২ রান করে আবু হায়দারের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন মেহেদী হাসান। চাপের মুখে ধীরে সুস্থে শুরুটা করেন তামিম। প্রথম ১৫ বলে ৭ রান করেন। পরে ২৭ বলে ২১। দশম ওভার থেকে হাতখুলে খেলতে থাকেন। হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছান ৪০ বলে।  প্রথম দশ ওভারে ঢাকার সংগ্রহ ছিল ৫৯/২। লরি ইভান্সকে জুটি গড়ে নিয়ে ১৪.২ ওভারে ১০০ পার করেন তামিম। তবে তিন অঙ্কের কোঠা ছোঁয়ার পরই আউট হন ইভান্স। দাসুন শানাকার বলে বাউন্ডারি লাইনে আবু হায়দার রনির হাতে ধরা পড়েন তিনি। ২৪ বলে ইভান্সের সংগ্রহ ২৩ রান। এরপর উইকেটে এসেই ঝড় তোলেন থিসারা পেরেরা। প্রথম ম্যাচে মাত্র ১ রান করা পেরেরা রনির করা ১৬তম ওভারেই নেন ২৩ রান।

পরের ওভারে শানাকাকে একটি ছক্কা হাঁকিয়ে আউট হন তামিম। ৫৩ বলে ৭৪ রানের ইনিংসটি তামিম সাজান ৬ চার ও ৪ ছক্কায়। ব্যক্তিগত কারণে ভারত সফরে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে ছিলেন না তামিম। বিপিএলের আগে সবশেষ মাঠে নামেন ১০ই অক্টোবর জাতীয় ক্রিকেট লীগে। এর আগে শ্রীলঙ্কা সফরে অধিনায়ক হিসেবে খেলতে গিয়ে চরম ব্যর্থতা দেখেছিলেন। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে সাকুল্যে করেন ২১ রান। সব মিলিয়ে ১০ ইনিংস পর ফিফটি পেলেন তামিম। সবশেষ ফিফটি হাঁকিয়েছিলেন বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।

১৮তম ওভারে জোড়া উইকেট হারায় ঢাকা। সৌম্য সরকার বোলিংয়ে এসে তুলে নেন দুই পাকিস্তানি শহীদ আফ্রিদি ও ওয়াহাব রিয়াজকে। প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়া আফ্রিদি এবারো ব্যর্থ। ৪ রান করে ডেভিড মালানের হাতে ধরা পড়েন। পরের বলেই আউট রিয়াজ (০)। পেরেরার কল্যাণে শেষ পর্যন্ত ১৮০ রানে থামে ঢাকা। ১৭ বলে ৭ বাউন্ডারি আর এক ওভার বাউন্ডারিতে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন পেরেরা। অধিনায়ক মাশরাফি ৫ বলে এক ছক্কায় করেন ৯ রান। কুমিল্লার হয়ে শানাকা ও সৌম্য ২টি করে উইকেট নেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর