‘আমার দেখা অন্যতম সেরা ফিনিশার’- ম্যাসন গ্রিনউডকে নিয়ে গত জুনে এমন মন্তব্য করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ ওলে গানার সুলশার। গুরুর এমন কথা আবারো প্রমাণ করলেন উদীয়মান এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড । শুক্রবার উয়েফা ইউরোপা লীগে আলকমারের বিপক্ষে জোড়া গোলে রেকর্ড গড়লেন গ্রিনউড । ম্যানইউর সবচেয়ে কমবয়সী খেলোয়াড় হিসেবে এই আসরে কোনো ম্যাচে দুই বা ততোধিক গোলের কৃতিত্ব দেখালেন তিনি। এর আগে ১৮ বছর ১১৭ দিন বয়সে পূর্র্বের রেকর্ডটি গড়েন মার্কাস রাশফোর্ড। স্বদেশি খেলোয়াড় মার্কাস রাশফোর্ডের চেয়ে ৪৫ দিন কম লাগলো গ্রিনউডের। ম্যাচে ৪-০ ব্যবধানে জেতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। রেড ডেভিলদের হয়ে বাকি দুটো গোল করেন অ্যাশলে ইয়াং ও হুয়ান মাতা।
এ জয়ে ১০ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করলো ম্যানইউ। তাদের কাছে হেরেও ‘এল’ গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে রাউন্ড-৩২ নিশ্চিত করেছে ডাচ ক্লাব আলকমার।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে প্রথমার্ধ কাটে গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধে ১১ মিনিটের ব্যবধানে চারবার আলকমারের জালে বল পাঠায় স্বাগতিক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ৫৩তম মিনিটে হুয়ান মাতার অ্যাসিস্টে ম্যানইউকে এগিয়ে দেন ইংলিশ ডিফেন্ডার অ্যাশলে ইয়াং। পাঁচ মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করে গ্রিনউড। ৬২তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে স্কোরলাইন ৩-০ বানিয়ে ফেলেন হুয়ান মাতা। দুই মিনিট পর মাতার দ্বিতীয় অ্যাসিস্টে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন গ্রিনউড। ম্যাচের পর কোচ সুলশার বলেন, ‘আমি জানি ওর মাঝে প্রতিভা আছে। গোলমুখের যত কাছাকাছি হয় ততোই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে সে। গ্রিনউড ডিফেন্ডারদের দুঃস্বপ্ন।’
চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতায় ১৮ ম্যাচে ৬ গোল করেছেন গ্রিনউড। এর মধ্যে ইউরোপা লীগেই ৪ গোল। এর আগে এফসি আসতানা ও পার্টিজানের বিপক্ষে একটি করে গোল করেন গ্রিনউড। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে ১২ ম্যাচে নামার সুযোগ হয়েছে তার। এর মধ্যে কেবল একটি ম্যাচে শুরুর একাদশে ছিলেন গ্রিনউড। গত ২৪শে নভেম্বর শেফিল্ড ইউনাইটেডের বিপক্ষে লীগে নিজের প্রথম ও একমাত্র গোলটি করেন এই ফরোয়ার্ড।
ম্যানইউর কমবয়সী গোলদাতা
ম্যাসন গ্রিনউড (ইংল্যান্ড): ১৮ বছর ৭২ দিন
মার্কাস রাশফোর্ড (ইংল্যান্ড): ১৮ বছর ১১৭ দিন
ওয়েইন রুনি (ইংল্যান্ড): ১৮ বছর ৩৪০ দিন
জর্জ বেস্ট (ইংল্যান্ড): ১৯ বছর ১৩৭ দিন
রায়ান গিগস (ওয়েলস): ২০ বছর ২৮৯ দিন