× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পরিচালকের সন্দেহ তবুও ম্যাচে সান্টোকি!

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৪ ডিসেম্বর ২০১৯, শনিবার

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ টি-টোয়েন্টিতে (বিপিএল) খেলছেন ক্রিসমার সান্টোকি। ক্যারিবীয় এই পেসারের দল সিলেট থান্ডার। বিপিএলের চলতি আসরে উদ্বোধনী ম্যাচে খেলতে নেমেছিলেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে। বল হাতে অদ্ভুত দুই ওয়াইড ও নো বল করে কৌতুহলের জন্ম দেন সান্টোকি। তাতেই গুঞ্জন ওঠে ফিক্সিংয়ের সম্ভাবনা নিয়ে । প্রথম ম্যাচের পর সিলেটের পরিচালক তানজিল চৌধুরীও দিয়েছেন বিস্ময়কর তথ্য। বিসিবির এই পরিচালক ও ফেসালিটিস বিভাগের চেয়ারম্যানের বরাত দিয়ে দেশি ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে তার বোলিং নিয়ে সন্দেহ খোদ দলটির পরিচালকেরই। তিনি বলেছেন, ‘সান্টোকির মতো কিছু খেলোয়াড়কে স্পন্সররাই নিয়েছে।
এজেন্টদের সঙ্গে তারাই যোগাযোগ করেছে। সে এমন একটি নো বল করেছে, যেটি খুবই সন্দেহজনক। আমি স্পন্সরদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, আপনারা প্রথম একাদশ গড়া নিয়ে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করেছেন কি না। ওনারা বলেছেন ‘না’। এখন টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলতে হবে। জানতে হবে তাকে খেলানোর বিষয়ে কেউ তাদের প্রভাবিত করেছে কি না। কারণ এই ছেলেটিতো মনে হচ্ছে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত।’ তার এমন বক্তব্যে শুরু হয় বিতর্কের ঝড়। তবে এত কিছুর পরও সিলেট গতকাল তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে রাজশাহীর বিপক্ষে সান্টোাকিকে নিয়েই একাদশ সাজায়। যা বিতর্ককে আরো উষ্কে দিয়েছে।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে এবার ৭টি দলেই আছেন বিসিবির একজন করে পরিচালক। তারা দলগুলোর পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। সেই হিসেবে সিলেটের দায়িত্ব তানজিল চৌধুরীর হাতে। তাই তার বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে হবে সেটি স্পষ্ট। তবে এমন অভিযোগের পর কেন সান্টোকিকে কিভাবে একাদশে রেখেছে টিম ম্যানেজম্যাট তা নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি কেউই। সিলেট দলটির স্পন্সর জিভানী ফুটওয়্যার কোম্পানি। তাদের পক্ষ থেকেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এমনকি তানজিল চৌধুরীর মুঠোফোনে গতকাল বারবার যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। তিনি মুঠোফোন বন্ধ করেই রেখেছিলেন।
আর বিসিবি ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের কোনো কর্মকর্তাই এই বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এটি আসলে সিলেট দলের আভ্যন্তরীন বিষয়। আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’ অন্যদিকে জানা গেছে সিলেটের প্রথম ম্যাচের পর পরই বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য মৌখিক অনুরোধ জানিয়ে রেখেছেন তানজিল চৌধুরী। বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী এবং সংস্থার দুর্নীতি দমন শাখার দায়িত্বে থাকা মেজর (অব.) হুমায়ুন মোর্শেদের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। তবে এ নিয়ে বিসিবির কোনো অনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সান্টোকির এই ‘নো’ বল নিয়ে সন্দেহের কারণও আছে। তিনি এমন একটি নো বল করেন যা স্মরণ করিয়ে দেয় ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মোহাম্মদ আসিফ, মোহাম্মদ আমিরদের কথা। পরে জানা গিয়েছিল সেটি ছিল স্পট ফিক্সিং। যে কারণে দীর্ঘদিন সব ধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ ছিলেন তারা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর