× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

র‌্যাবের হাতে আটকের পর পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সহযোগিসহ ডাকাত সরদার নিহত

অনলাইন

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯, শনিবার, ১১:১৯ পূর্বাহ্ন

টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশ বলছে, নিহতদের একজন অস্ত্র-মাদক সিন্ডিকেটের সদস্য ও ডাকাত সরদার নুর হাফিজ। অপরজন তার সহযোগি সোহেল। শনিবার গভীররাতে এ ঘটনা ঘটে। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পুলিশের ৫ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে। এর আগে বিপুল পরিমাণ মাদক এবং অবৈধ অস্ত্রসহ র‌্যাব-৭ এর হাতে আটক হয়েছিলেন তারা। পরে তাদেরকে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।  

নিহতরা টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা-হোয়াইক্যংয়ের সবচেয়ে বড় মাদক সিন্ডিকেটের সদস্য হওয়ায় এলাকার সর্বত্র আলোচনা চলছে।
শুধু তাই নয়, এই সিন্ডিকেটের গডফাদার নিহত হওয়ায় সীমান্তের অপরাধসহ মাদক তৎপরতা অনেকটা কমে আসবে বলে ধারণা করছেন অনেকে।

জানা যায়, র‌্যাব-৭ এর হাতে ৮ লাখ ১০ হাজার ইয়াবা, ৬টি অস্ত্র ও ৭০ রাউন্ড বুলেটসহ আটক হন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত ইয়াবা কারবারী নয়াবাজারের মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গা নুর হাফিজ (৩২) এবং তার সহযোগি মো. সোহেল (২৭)। পরে তাদেরকে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করলে স্বীকারোক্তি মোতাবেক শনিবার ভোররাতে টেকনাফ মডেল থানার এসআই মশিউর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাদের আস্তানায় অবৈধ অস্ত্র এবং মাদক উদ্ধার অভিযানে যায়।

এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নুর হাফিজ সিন্ডিকেটের সশস্ত্র সদস্যরা পুলিশের নিকট হতে তাদের ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এতে পুলিশের এসআই কামরুজ্জামান (৫০), এএসআই সনজিব দত্ত (৩২), মিশকাত উদ্দিন (৩০), কনস্টেবল সিকান্দর আলী (২৩) ও মহিউদ্দিন (২২) আহত হন। পুলিশও সরকারি সম্পদ এবং আত্মরক্ষার্থে বেশ কয়েক রাউন্ড পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে কিছুক্ষণ পর হামলাকারীরা পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুলিশ ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ৯৫ হাজার পিস ইয়াবা, ৬টি দেশীয় তৈরী এলজি, ১৮রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ১৩ রাউন্ড খালি খোসাসহ গুলিবিদ্ধ নুর হাফিজ এবং সোহেলকে উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুলিবিদ্ধ মাদক কারবারীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হলে সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

উল্লেখ্য, নিহত নুর হাফিজ ২০১৭ সালে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী নেতাদের সঙ্গে আতাঁত, বাংলাদেশী স্থানীয় কতিপয় রাজনৈতিক নেতাদের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে তিনি সীমান্তে হয়ে ওঠে মাফিয়া ডন। পাশ্ববর্তী কিছু গরীব অসহায় মানুষকে টাকা-পয়সা দিয়ে দানবীর সাজানোর চেষ্টা চালালেও মুলত হ্নীলা-হোয়াইক্যংয়ের মাফিয়া জগতই এই নুর হাফিজদের অঘোষিত নিয়ন্ত্রণে থাকতো। কেউ এই নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করলে ষড়যন্ত্রের পাতানো জালে আটকে হয়রানির শিকার হতে হতো।

এইদিকে সরকারের মাদকবিরোধী অভিযান জোরদার হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চাপের মুখে প্রাণরক্ষার্থে হ্নীলা গাজী পাড়ায় এক মহিলাকে বিয়ে করে আত্মগোপনে থাকার চেষ্টা চালালেও মাদক ও স্বর্ণ চোরাচালানের অপকর্ম বন্ধ করেনি। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এই দু’জন নিহত হওয়ার পর হ্নীলা-হোয়াইক্যংয়ের মাদক কারবার ও অপরাধ প্রবণতা কিছুটা কমে আসবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর