যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে অভিশংসন প্রক্রিয়ায় দুটি অভিযোগ বা আর্টিকেল অনুমোদন করেছে কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের জুডিশিয়ারি কমিটি। শুক্রবার অভিশংসনের পক্ষে ২৩ ভোট দেন সদস্যরা। এর বিপক্ষে ভোট পড়ে ১৭টি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে দুর্নীতির তদন্ত করতে ট্রাম্প চাপ প্রয়োগ করেছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে ডেমোক্রেটদের তদন্তে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিলেন মর্মে এই অভিযোগ অনুমোদন করেছে কমিটি। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ওই অনুমোদনের পর ডেমোক্রেট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসনের ভোট দেয়া হতে পারে। এই ভোট এই সপ্তাহেই হতে পারে। প্রতিনিধি পরিষদে যদি অভিশংসন পাসও হয় তবু তা আটকে যেতে পারে সিনেটে।
কারণ, সিনেটের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে রিপাবলিকানদের হাতে। সেখানে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ। ফলে রিপাবলিকানরা নিজেদের দলের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেবেন না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এরই মধ্যে তারা ট্রাম্পকে পদ থেকে সরিয়ে দেবেন এমন কোনো লক্ষণের প্রকাশ দেখান নি।
কংগ্রেশনাল শুনানি এখন গ্রাস করেছে ওয়াশিংটনকে। এসব শুনানিতে ডেমোক্রেটরা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন যে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিয়েছেন, জাতীয় নিরাপত্তাকে বিপদে ফেলেছেন, ২০২০ সালের আসন্ন নির্বাচনের সততাকে খর্ব করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কিকে তদন্তের আহ্বান জানিয়ে। প্রতিনিধি পরিষদের জুডিশিয়ারি কমিটিতে অভিশংসন প্রক্রিয়া পাস হওয়ার পর এ কমিটির ডেমোক্রেট দলীয় চেয়ারম্যান জেরল্ড ন্যাডলার বলেছেন, আজকের দিনটি একটি গম্ভীর ও বেদনার দিন। দেড় শতাব্দীর সামান্য কিছু বেশি সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের পক্ষে আর্টিকেলে ভোট দিয়েছে হাউজ জুডিশিয়ারি কমিটি। এটা এ সময়ের মধ্যে তৃতীয় এমন ঘটনা।
তবে ট্রাম্পের পক্ষ নিয়েছেন রিপাবলিকানরা। ডেমোক্রেটরা রাজনৈতিক উদ্দেশে প্রেসিডেন্টের ২০১৬ সালের নির্বাচনী বিস্ময়কর বিজয় নস্যাৎ করার জন্য প্রহসন করছে বলে তাদের অভিযোগ। কমিটির ভোটের পর হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, অভিশংসন হলো একটি প্রতারণা। এটা লজ্জার। কোনো অন্যায় কিছু করা হয় নি। ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে এই অভিশংসন এই দেশের জন্য বিব্রতকর।