× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ড্রেজারের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত সংকোস নদী

বাংলারজমিন

এম সাইফুর রহমান, নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) থেকে
১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার

নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানার সংকোষ নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালুর ব্যবসা করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। ড্রেজার মেশিনের আক্রমণে সংকোস নদী এখন ক্ষতবিক্ষত। বালু সিন্ডিকেটের একটি দল বছরের পর বছর এই নদীর বিভিন্ন স্থানে বালু তুলে নদীকে বিক্ষত করেছে। ফলে ভাঙছে নদীর পাড়সহ ফসলি জমি। নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র ড্রেজার বসিয়ে বালু তোলায় হুমকির মুখে পড়ছে কচাকাটা ব্রিজ, গাবতলা ব্রিজ, কচাকাটা ডিগ্রি কলেজসহ কয়েকটি সরকারি স্থাপনা। মাঝে মধ্যে স্থানীয়দের অভিযোগে প্রশাসন অভিযান চালালেও থামছেনা সংকোসের বালু উত্তলোন। নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানার কেদার, কচাকাটা এবং বল্লভেরখাষ ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে চলা এ নদীতে দশটির অধিক ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তলোনের কাজ সর্বদা চালু থাকে। বর্তমানে এ নদীর তীরবর্তী কেদার ইউনিয়নের সাতানা গ্রামের হাফিজুর ইসলাম নামে এক জনের ১টি, বল্লভের খাষ ইউনিয়নের গাবতলা সেতুর নিকটে গাজিউরের ২টি এবং বল্লভেরখাষ পুরাতন পরিষদের নিকটে লিংকন নামের এক জনের ১টি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন চলছে।
এছাড়া এই তিন ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ ড্রেজার দিয়ে দুধকুমর নদসহ সরকারি এবং মালিকাধীন জলাশয় থেকে বালু উত্তোলন করে থাকে একাধিক ড্রেজার মালিক। এমনকি সড়ক ও জনপদের সড়কের উপর এবং নিচ দিয়ে পাইপ বসিয়ে বালু তোলার দৃশ্যও দেখা যায় হরহামেশা।
বল্লভেরখাষ ইউনিয়নের ড্রেজার মালিক ইউপি সদস্য গাজিউর রহমান জানান, কচাকাটা থানা এলাকায় ছোট বড় গ্রায় ২০টি ড্রেজার মেশিন চলে। তিনি নিজেও দুটি ড্রেজারের মালিক। কখনো সংকোস আবার কখনো দুধকুমর নদে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে থাকে। বর্তমানে সংকোষ নদীতে দুইটি ড্রেজার চলমান রয়েছে তার। এদিকে বরিশালের হাফিজুর ইসলাম দীর্ঘদিন থেকে বড় ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে ব্যবসা করছে বলেও তিনি জানান। এছাড়া কেদার ইউনিয়নের কেরাম আলী, কাচুয়া, মোস্তফা, বল্লভেরখাষ ইউনিয়নের বাচ্চু, হেলাল, বয়েজতুল্লাসহ ১০/১২ জন এসব অবৈধ ড্রেজার ব্যবসার সাথে জড়িত। কেদার ইউনিয়নের ভূমি উপ-সহকারী মাসুদ জানান, অবৈধ ড্রেজার বন্ধে আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে এলাকা কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির কারণে তা সফল হচ্ছে না। নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর আহমেদ মাছুম জানান, অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে অভিযান সরকারি নিয়ম অনুযায়ী চলমান আছে। সংকোষ নদীতে ড্রেজারের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর