× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘আমার কি ভাতার কার্ড পাওয়ার বয়স ওইছে না?’

বাংলারজমিন

রফিক বিশ্বাস, তারাকান্দা (ময়মনসিংহ) থেকে
১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার

 ‘আমার কি ভাতার কার্ড পাওয়ার বয়স ওইছে না? মেম্বারের কাছে গেলে বলে সামনে আইলে দেমনে।’ এ কথাগুলো বলেন, ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার গালাগাঁও ইউনিয়নের কালনীকান্দা (নদীরপাড়) গ্রামের মৃত মুজাফ্‌ফর উদ্দিনের স্ত্রী দরিদ্র জাহানারা বেগম (৬৯)।
জানা গেছে, ২০ বছর আগে জাহানারা বেগমের স্বামী মুজাফ্‌ফর উদ্দিন এক সন্তান নূরুল আমিনকে রেখে মারা যান। একমাত্র সন্তান নূরুল আমিনকে নিয়ে বৃদ্ধ জাহানারা বেগম স্বামীর রেখে যাওয়া ৩ শতাংশ ভূমিতে বসবাস করেন। একমাত্র নূরুল আমিন বিয়ে করে স্ত্রীসহ ঢাকা কাজ করে। বৃদ্ধ মাকে সহযোগিতা করার সামর্থ্য নেই তার। নূরুল আমিনের তিন শিশুসন্তান বৃদ্ধ মা জাহানারার কাছে রেখে যান।
দরিদ্র জাহানারা বেগম জানান, ‘আমরা গরিব মানুষ। ৩টা নাতিন নিয়ে কষ্টে আছি। সন্তানের সামান্য রোজগারে কোনোমতে চলছে সংসার। অসুস্থ হলেও অর্থাভাবে ওষুধ কেনা হয় না।
তাই কষ্টে দিন পার করছি। একটা বয়স্ক ভাতা কার্ডের জন্য মেম্বারের কাছে গেলে বলে সামনে কার্ড আইলে দেমনে। এভাবে দিনের পর দিন গেলেও জোটেনি ভাতার কার্ড। গত শুক্রবার দরিদ্র বৃদ্ধ জাহানারা বেগমের বাড়িতে গেলে এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘আমার কি ভাতার কার্ড পাওয়ার বয়স ওইছে না?’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর