ক্রিকেট মাঠে এখন কোনো খেলোয়াড় মাথায় আঘাত পেলে তার বদলি নামানো যায়। ভারতের বিপক্ষে দিবারাত্রির টেস্টে বাংলাদেশ তো এ সুবিধা নিয়েছে দুই বার। কিন্তু অন্য চোটের ব্যাপারেও আলোচনার সময় এসেছে হয়তো। ২০ জনের ম্যাচের রূপ নিয়েছে এবারের পার্থ টেস্ট। পার্থে প্রথম দিনে ঊরুতে আঘাত নিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যান নিউজিল্যান্ডের পেস তারকা লকি ফার্গুসন। এটা ফার্গুসনের অভিষেক টেস্ট। আর গতকাল হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটে পড়েন অস্ট্রেলিয়ার পেস তারকা জশ হ্যাজলউড। এতে ম্যাচের তৃতীয় দিনে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড পরিণত হয় ১০ জনের দলে। ঘরের মাঠের দিবারাত্রির টেস্টে আবারও দাপট দেখাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ৪১৬ রানের জবাবে মাত্র ১৬৬ রানে গুঁড়িয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। আগের দিন নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ১০৯/৫। শুরুতেই উইকেট তুলে নেয়া জশ হ্যাজলউড গতকাল মাত্র ৮ বল করার পরই হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়ে মাঠ  ছাড়েন। এর ফলে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ম্যাথিউ ওয়েডের হাতেও তুলে দেয়া হয় নতুন বল।  নতুন বলে সুইং করতে দেখা যায় তাকে।  ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসেও বল করার সম্ভাবনা নেই ফার্গুসন-হ্যাজলউডের। তবু বদলি নেয়ার সুযোগ নেই। কারণ আইসিসির বদলি খেলোয়াড় নেয়ার নিয়ম শুধু মাথায় আঘাত পাওয়ার ক্ষেত্রে। গতকাল হ্যাজলউড চোট পাওয়ার আগেই এ ব্যাপারে টুইটারে আলোচনা শুরু করেছিলেন সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভন। তিনি বলেন, ম্যাচের শুরুতেই এভাবে একজন খেলোয়াড় ছিটকে গেলে তার বদলি নেয়ার সুযোগ থাকা উচিত। টুইটে লিখেছেন, ‘আমার ধারণা টেস্টে চোটের বদলির নিয়ম রাখা উচিত। একজন নিরপেক্ষ চিকিৎসক থাকবে। যে ফার্গুসনের মতো খেলোয়াড়দের পরীক্ষা করে মতামত দেবে। ফার্গুসনের চোট তো সত্য বলেই প্রমাণিত হয়েছে। একজন বদলি তো নামানো যায়ই। আপনাদের কী মনে হয়?’ হ্যাজলউড চোট পাওয়ার পর অবশ্য এ নিয়ে আর কোনো টুইট করেননি ভন।
পার্থে গতকাল এক শিকার নিয়ে ইনিংসে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন অজি পেসার মিচেল স্টার্ক। আর নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৮০ রান আসে রস টেইলরের ব্যাট থেকে। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসেও অস্ট্রেলিয়াকে দারুণ শুরু এনে দেন টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা। ওয়ার্নার ১৯ রানে সাজঘরে ফিরলেও বার্নস ও লাবুশেন পূর্ণ করেন অর্ধশতক।