× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চলচ্চিত্রে মুক্তিযুদ্ধ

বিনোদন

স্টাফ রিপোর্টার
১৬ ডিসেম্বর ২০১৯, সোমবার

বাংলাদেশের সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায় হচ্ছে স্বাধীনতাযুদ্ধ। বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অসংখ্য প্রামাণ্য, স্বল্পদৈর্ঘ্য এবং পূর্ণদের্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। এসব চলচ্চিত্র দেশের বাইরেও বেশ প্রশংসা অর্জন করেছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এক বছরের মধ্যেই ১৯৭২ সালে মুক্তি পায় চারটি চলচ্চিত্র। এগুলো হলো চাষী নজরুল ইসলামের ‘ওরা ১১ জন’, সুভাষ দত্তের ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’, মমতাজ আলীর ‘রক্তাক্ত বাংলা’ এবং আনন্দের ‘বাঘা বাঙ্গালী’। এরপর ১৯৭৩ সালে আলমগীর কবিরের ‘ধীরে বহে মেঘনা’, আলমগীর কুমকুমের ‘আমার জন্মভূমি’, খান আতাউর রহমানের ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ছবিগুলো মুক্তি পায়। প্রতিটি ছবিই দর্শকের মনে ছাপ ফেলেছে। যার প্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একটা সময় প্রতি বছর ধারাবাহিকভাবে চলচ্চিত্র নির্মিত হতে থাকে।
১৯৭৬ সালে হারুন-অর রশিদ নির্মাণ করেন ‘মেঘের অনেক রং’। সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রকার শহীদুল হক খান সরকারি অনুদানে ১৯৮১ সালে নির্মাণ করেন ‘কলমীলতা’। ১৯৯৪ সালে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ নিজের লেখা গল্পে নির্মাণ করেন ‘আগুনের পরশমণি’। ৪৫ বছর ধরে বাংলাদেশে নির্মিত হয়েছে বেশকিছু মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ওরা ১১ জন’, ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘রক্তাক্ত বাংলা’, ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’, ‘ধীরে বহে মেঘনা’, ‘আবার তোরা মানুষ হ’, ‘আলোর মিছিল’, ‘নদীর নাম মধুমতি’, ‘মুক্তির গান’, ‘জয়যাত্রা’, ‘খেলাঘর’, ‘আমার বন্ধু রাশেদ’, ‘গেরিলা’, ‘জীবনঢুলী’, ‘৭১-এর সংগ্রাম’, ‘মেঘমল্লার’, ‘৭১-এর মা জননী’, ‘অনিল বাগচীর একদিন’, ‘পোস্টামাস্টার ৭১’ ইত্যাদি। তবে বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের সংখ্যাটা কমে গেছে। মুক্তিযুদ্ধের মতো বড় একটি ক্যানভাসের চলচ্চিত্র নির্মাণ নিয়ে নির্মাতা-অভিনেতা তৌকীর আহমেদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের ঘটনাবহুল এক অধ্যায়। চলচ্চিত্র নির্মাণের শুরু থেকে মনে রাখতে হবে, এর গল্প যেন ইতিহাস থেকে কোনোভাবেই সরে না যায়। একটি ছবির ফ্রেমে তাকে পুরোপুরি তুলে ধরা যাবে না। তাই যে অংশ নির্মাতা তুলে ধরবেন, তা যেন বাস্তব হয়ে দর্শকের কাছে ধরা দেয়। তা করতে গেলে ছবির বাজেট নিয়েও আলাদা করে ভাবতে হয়। তৌকীর আহমেদের এ কথায় অনেক নির্মাতা একমত পোষণ করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর