× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

স র জ মি ন ঢাকা উত্তর ৩৮ নং ওয়ার্ড /যা বলছেন ভোটাররা

ঢাকা সিটি নির্বাচন- ২০২০

মারুফ কিবরিয়া
৪ জানুয়ারি ২০২০, শনিবার

ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন ৩০শে জানুয়ারি। উত্তর ও দক্ষিণে বিভক্ত হওয়া দুই অঞ্চলেই এখন বইছে নির্বাচনী হওয়া। ভোট নিয়ে চলছে জনমনে নানা জল্পনা-কল্পনা। এরই মধ্যে প্রার্থী ঘোষণা ও তা বৈধতাও পেয়েছেন সবাই। বাকি থাকলো প্রতীক বরাদ্দের দিনক্ষণ। প্রতীক পেলেই প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী মাঠে নামবেন প্রচারণায়। তবে এর আগেই সর্বত্র ভোটের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হলেও আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট নিয়ে জনগণের আগ্রহের কমতি নেই।
দুই অঞ্চলে দুই মেয়র ছাড়াও একাধিক কাউন্সিলর ভোটে জয়ী হয়ে নিজ নিজ এলাকার প্রতিনিধিত্ব করবেন। ঢাকার অন্য এলাকাগুলোর মতো উত্তরের ৩৮ নং ওয়ার্ডেও আসন্ন নির্বাচন ঘিরে ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে বাসিন্দাদের মাঝে। সৎ, যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি মাদকমুক্ত ওয়ার্ড চান তারা। সর্বশেষ উপ-নির্বাচনে ঢাকার উত্তরের এই নতুন ওয়ার্ডটিতে ভোটে জয়ী হয়েছিলেন শেখ সেলিম। এক সময় বাড্ডা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল তার। আসছে নির্বাচনে আবারো আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন শেখ সেলিম। অন্যদিকে, একই ওয়ার্ডে সবশেষ উপ-নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও এবার দলটি ভোটের মাঠে লড়াই করছে। বিএনপি থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন জাহাঙ্গীর মোল্লা।

মধ্য বাড্ডার আদর্শ নগর, পূর্বাচল, হোসেন মার্কেট, ময়নারবাগ, উত্তর বাড্ডার স্বাধীনতা স্মরণী ও পূর্বাচলসহ আশাপাশের বেশ কয়েকটি এলাকা নিয়ে গঠিত উত্তরের ৩৮নং ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বলছেন, আসছে ভোটে  উন্নয়নে কাজ করবেন এমন কাউকে নির্বাচিত করতে চান। সেই সঙ্গে বিপদে আপদে মানুষের পাশে থাকার মতো একজন অভিভাবক চান তারা। অন্যদিকে, পুরো ওয়ার্ডকে মাদকমুক্ত করার দাবিও জানান এলাকাবাসী। আদর্শ নগরের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, নতুন কাউন্সিলর হিসেবে শেখ সেলিম বেশ কিছু কাজ হাতে নিয়েছেন। আগে যখন ইউনিয়ন পরিষদ ছিল তখন এলাকায় কোনো কাজ হয়নি। শেষ নির্বাচনে একজন কাউন্সিলর হওয়ায় আমরা আশা করছি। কিন্তু এখনো তার কাজ শেষ হয়নি। নতুন করে নির্বাচনে যেই আসুক সে যেন আমাদের এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়নে কাজ করেন।

 একই এলাকার সাব্বির নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বলেন, বর্তমান কমিশনার বেশি কাজ করার সুযোগ না পেলেও অল্প সময়ে অনেক কিছু করছেন। ডেঙ্গুর মৌসুমে এলাকার মানুষ মশার যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে গিয়েছিল। তখন কাউন্সিলরের সহযোগিতায় মশা নিধন কার্যক্রম হয়েছে। এটা পজিটিভ দিক বলতে পারি। আশা করছি পরবর্তীতে যদি তিনি আবার নির্বাচিত হন আরো কাজ করবেন। ফয়সাল নামের এক মুদি দোকানি বলেন, এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজে হাত দিলেও মাদক নির্মূলে কোনো কাজ হয়নি। অল্প বয়সের অনেকে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। নির্বাচনে যে জয়ী হবেন তিনি যেন এই সমস্যা নিয়ে কাজ করেন। ময়নারবাগের বাসিন্দা ফারুক হোসেন বলেন, ভোট তো এখন মানুষ দিতে পারে না। আমরা ভোট কেন্দ্রে গিয়া ফিইরা আসি। এবার যদি দিতে পারি তাইলে ভালো একজন মানুষকে ভোট দিমু। বর্ষা হইলে বাসার সামনে  পানি উইঠা যায়। যে কমিশনার হইবো এই আমগো দিকে জানি দেখে। উত্তর বাড্ডার বাসিন্দা রাজু বলেন, ভোট আসলে তো মানুষ ভোট দিতে পারে কিনা সেটা নিয়ে চিন্তায় থাকে। আমিও চিন্তায় আছি। কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবো কিনা। গেল নির্বাচনেও কেন্দ্রে গিয়ে ফেরত আসছি। এবার যদি কোনো ঝামেলা না হয় তাহলে ভোটটা একজন সৎ প্রার্থীকে দিবো। যে আমাদের পাশে থাকবে সবসময়।

নির্বাচন অংশ নেয়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ সেলিম মানবজমিনকে বলেন, উপ-নির্বাচন থেকে খুব অল্প সময় হাতে পেয়েছি। এলাকার জন্য বেশি কাজ করার সুযোগ হয়নি। তবে ডেঙ্গুর ভয়াবহতার সময় আমি খুব সতর্ক ছিলাম। নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। এবার এলাকার বাসিন্দারা যদি আমাকে ভোট দেন, তাহলে জনগণের পাশে থাকবো। আমার নির্বাচনী এলাকায় যেসব রাস্তাঘাট অর্ধেক কাজ হয়ে আছে সেগুলো শেষ করবো। পাশাপাশি মাদক একটি বড় সমস্যা। এটা নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা আছে। এছাড়া ৩৮নং ওয়ার্ড নিয়ে আরো কিছু পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করবো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর