× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঢাকা উত্তর ৩৯ নং ওয়ার্ড /প্রস্তুত প্রার্থীরা শঙ্কায় ভোটাররা

ঢাকা সিটি নির্বাচন- ২০২০

মারুফ কিবরিয়া
৫ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার

ঢাকার দুই সিটিতে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। ভোটযুদ্ধে নামতে প্রস্তুত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। প্রচারণা দিনক্ষণের সবুজ সংকেত পেলেই মাঠে নামবেন সবাই। ভোট চাইতে নিজের প্রতীক জানান দিতে বাড়ি বাড়ি যাবেন তারা। প্রতীক পেলেই পোস্টারে ছেয়ে যাবে সর্বত্র। ঢাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে দেখা মিলবে এই দৃশ্য। নির্বাচনকে ঘিরে এমন প্রস্তুতির খবর মিললেও ভোটারদের মাঝে তেমন কোনো আগ্রহ নেই এ নিয়ে। বরং শঙ্কার কথাই বলছেন ঢাকা উত্তরের ৩৯ নং ওয়ার্ডবাসী।
ওয়ার্ডটির একাধিক ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভোট নিয়ে তাদের মাঝে কোনো উচ্ছ্বাস নেই। ভাটারা থানাধীন সোলমাইদ, নূরের চালা, খিলবাড়িটেকসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা উত্তরের ৩৯নং ওয়ার্ড। সর্বশেষ উপনির্বাচনে এ ওযার্ড থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম নির্বাচিত হন। তিনি এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়ে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন। অন্যদিকে বিএনপি প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন। একই ভাবে ৩৮, ৩৯ ও ৪০ নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে লড়বেন মাহমুদা বেগম। গতকাল দিনভর ৩৯নং ওয়ার্ডে সরজমিন ঘুরে জানা যায়, ভোট নিয়ে জনগণের শঙ্কার কথা। সোলমাইদ এলাকার নিপুন হোসেন নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাদের এখন আর কোনো আগ্রহ কাজ করে না। কার ভোট কে দেয় কেউ বলতেও পারে না। এসব নিয়ে কথা বললে মানুষ খারাপ হয়ে যায়। তবে সুষ্ঠু ভোট সবাই প্রত্যাশা করে। যা গত কয়েক বছরে আমরা পাইনি। আমরা সাধারণ মানুষ ভোট দিতে যাই। কেন্দ্রে গিয়ে দেখি ভোট কাস্ট হয়ে গেছে। তাহলে এ ভোট নিয়ে আগ্রহ থাকবে কেন? একই এলাকার সাহেব আলী বলেন, ভোট দিতে তো চাই। কিন্তু এখন তো ভোট না দিলেও চলে। গত বছর দুই ইলেকশনে ভোট দিতে পারি নাই। এবার পারবো কিনা জানি না। নুরের চালার বাসিন্দা সাইফ বলেন, ইচ্ছা আছে নিজের পছন্দের
প্রার্থীকে ভোট দেয়ার। নির্বাচন আসলেই খুব ভালো লাগে। কিন্তু ভোটের দিন দেখা যায়, সুন্দরটা থাকে না। সকাল থেকে দেখবো যদি পরিস্থিতি ভালো হয় কেন্দ্রে যাবো। না হলে বাদ। খিলবাড়ি টেক এলাকার হায়দার উদ্দিন জানান, সিটি নির্বাচনের সময় বেশি উৎসব উৎসব লাগে। কিন্তু ভোটের দিনের পরিস্থিতি আর ভালো লাগে না। এসব বলা যায় না। বললে আমাদের মতো নীরিহ মানুষদের রাজনৈতিক ট্যাগ দেয়। আমি আর আমার পরিবার আর কখনো ভোট দিতে যাবো না।
ভোটাররা শঙ্কার কথা জানালেও ওয়ার্ডের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষের ভালোবাসা রয়েছে বলে দাবি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলামের। তিনি বলেন, আমি মনে করি ভোটাররা আমার সঙ্গে আছেন। ৯০ ভাগ মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা নিয়েই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। বর্তমান কাউন্সিলর হিসেবে ৮ মাসে কিছু করতে পারিনি। তবে এবার নির্বাচিত হয়ে সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টি পরিকল্পনা রয়েছে আমার। এদিকে ভোটে নির্বাচিত হয়ে নারীদের জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ থেকে সমর্থিত সংরক্ষিত ওয়ার্ড প্রার্থী মাহমুদা বেগম। তিনি মানবজমিনকে বলেন, আমার তিন ওয়ার্ড ঘিরে বিস্তর পরিকল্পনা রয়েছে। আগে যখন ইউনিয়ন মেম্বার ছিলাম তখনও অনেক কাজ করেছি। সেই মানুষ আমাকে ভালোবেসে দ্বিতীয় দফা ভোটে জয়ী করেছে। এবার কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে তাদের কাছে আবার হাজির হয়েছি। ভোটে জয়ী হয়ে নারীদের জন্য বিশেষ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নের বিষয়টি তো নজরে থাকবেই। তবে মোটা দাগে বাল্য বিবাহ, শিশু শ্রম, নারী নির্যাতন ও নারীদের জন্য বিনামূল্যে বা স্বল্প খরচে চিকিৎসা সেবা দেয়ার কাজ করবো। সে সঙ্গে আমার দায়িত্বে থাকা তিন ওয়ার্ডে মাদক নির্মুলে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর