× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মেয়র প্রার্থীদের কাছে যে দাবি জানিয়েছেন প্রতিবন্ধীরা

ঢাকা সিটি নির্বাচন- ২০২০

মো. শেফাউল করিম
১১ জানুয়ারি ২০২০, শনিবার

সবার দৃষ্টি ৩০শে জানুয়ারির দিকে। এদিন ঢাকার দুই সিটির ভোট। ইতিমধ্যে প্রতীক নিয়েই শুক্রবার প্রার্থীরা মাঠে নেমে পড়েছেন। প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কর্মী সমর্থকরাও। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা একেক করে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এসব প্রতিশ্রুতিতে নেই প্রতিবন্ধীদের অধিকার। অথচ প্রতিবন্ধীদের ঘাটে ঘাটে রয়েছে প্রতিবন্ধকতা। নগরীর বাজার, বিপণী বিতান, রাস্তঘাট, কর্মক্ষেত্রে সব জায়গায় তাদের বাঁধা।
শুধু তাই নয় নগরীর যত্রতত্র ম্যানহোলের কারণে প্রতিনিয়ত বিপাকে পড়ছে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা। নির্বাচনের আগে কেউ কেউ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসলেও নির্বাচিত হওয়ার পর কেউ তাদের খবর রাখেন না এমন অভিযোগ করেছেন  প্রতিবন্ধীরা। প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাড়িঘর থেকে ফুটপাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, পাবলিক ট্রান্সপোট, শপিংমলে, অফিসে প্রায় সর্বত্রই প্রতিবন্ধীদের চলাচলে বাধা রয়েছে। সেই বাধা গুলোর সমাধানে নেই কোনো উদ্যোগ। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে কেমন নগরী চায় প্রতিবন্ধীরা? রাজধানীর বাসাবো এলাকার বাসিন্দা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মো.নুরুল হুদা মনির বলেন, আমাদের ফুটপাতে চলাচলে অনেক সমস্যা হয়। আমাদের জন্য যদি আলাদা লেন করে দেয়া হয় তাহলে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের চলাচল করতে হয় সুবিধা হয়। বাস গুলোতে আমাদের জন্য যে নির্ধারিত সিট আছে সেখানে আমরা যেন বসতে পারি সেটা সুনিশ্চিত করা প্রয়োজন। সিটি করপোরেশনে প্রতিবন্ধী মানুষদের জন্য হেল্পলাইন চালু করতে হবে যাতে করে আমাদের সমস্যা গুলো সেখানে বলতে পারি। মহিলা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী প্রতিষ্ঠানের (ডব্লিউ আই ডি ই)মহাসচিব পপি বেগম বলেন, আমি নিজেও একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষ। নতুন মেয়র প্রর্থীদের কাছে আমার প্রত্যাশা হল সিটি কর্পোরেশন থেকে যখন কোন প্রতিবন্ধীর জন্য কাজ করা হবে সেখানে যেন আমাদের মধ্যে থেকে একজন প্রতিনিধি রাখেন। তাহলে আমাদের সমস্যাগুলো তুলে ধরতে পারেবেন। ঢাকাতে যে গনপরিবহন গুলো আমাদের চালাচলের জন্য উপযোগী হয় সেই বিষয়ে একটু লক্ষ্য দিতে হবে। আমি যদি আমার কথা চিন্তা করি, আমার বাসা বাড্ডাতে আর অফিস গুলশানে। আমি কখনো বাসে উঠতে পারি না। আমাকে রিকশায় অথবা সিএনজি করে যেতে হয় তাতে আমার বেতনের অনেক টাকা যাতায়তে চলে যায়। বাকি টাকা দিয়ে সংসার চালানো আমার জন্য কষ্ট হয়। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মো.হাসান মিয়া বলেন , প্রতিবন্ধী মানুষদের জন্য একটি নির্দিষ্ট বাস কাউন্টার দরকার কারন আমরা তো সাধারন মানুষদের সাথে ধাক্কা ধাক্কি করে বাসে উঠতে পারি না। ফুটপাতে যে স্পর্শযোগ্য টাইলস স্থাপন করা হয়েছে সে গুলো অনেক জাগায় উল্টাপাল্টা বসানো হয়ে যা আমাদের চলাচলে অনেক কষ্ট হয়। এর কারনে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনার শিকার হই। এই গুলোর সামাধান করতে হবে। সিটি করর্পোরেশনে যেন একটি নির্দিষ্ট কক্ষ থাকে। আমরা যেন মেয়রের সাথে দেখা করতে পারি বা আমাদের সমস্যা গুলো বলতে পারি। আমরা যারা চাকরি করি আমাদের অফিস যেন প্রতিবন্ধী বান্ধব হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ঢাকার পার্কগুলোকে  প্রতিবন্ধী বান্ধব করতে হবে। হুইলচেয়ারে চলাচল করেন শারীরিক প্রতিবন্ধী বাংলাদেশ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো.জাভেদ সাঈদ আলী। তিনি বলেন, নতুন মেয়র প্রর্থীদের কাছে আমার প্রত্যাশা প্রতিবন্ধী বান্ধব সড়ক নির্মাণ আর আমাদের জন্য খেলার মাঠ বা বেড়ানোর জন্য বিশেষ পার্ক নির্মাণ চাই। সিটি কর্পোরেশনের কাজে ও প্রকল্প গুলো প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কথা মাথায় রেখে দিতে হবে। সিটি কর্পোরেশনে গিয়ে অনেক সময় হয়রানির শিকার হতে হয়। সেদিকে নজর দিতে হবে মেয়রদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধী ছাত্র  মো.সগীর হোসাইন বলেন, আমি হুইলচেয়ারে চলাচল করি। বাসে বা গনপরিবহনে  চলার কথা চিন্তা করতে পারি না । কারন কে তুলেব আমাকে। সেখানে তো আমাদের বসার জায়গা নাই। উন্নত বিশ্বের শহর গুলোতে বাসে হুইলচেয়ার নিয়ে বসার জায়গা আছে। আমি চাই আমাদের বিআরটিসি যে বাস গুলো আছে তাতে সেই ব্যবস্থা করলে ভাল হয়। জেব্রা ক্রসিং গুলো আমাদের ব্যবহারের উপযোগী করতে হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর