× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

স র জ মি ন ঢাকা উত্তর ১৪ নং ওয়ার্ড /জলাবদ্ধতা যেখানে প্রধান সমস্যা

ঢাকা সিটি নির্বাচন- ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার
১১ জানুয়ারি ২০২০, শনিবার

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৪ নং ওয়ার্ড। শেওড়াপাড়া, পূর্ব ও পশ্চিম সেনপাড়া পর্বতা, পূর্ব ও পশ্চিম কাজীপাড়া, পূর্ব ও পশ্চিম কাফরুল নিয়ে ওয়ার্ডটি গঠিত। একই সঙ্গে মিরপুর ও কাফরুল থানার অন্তর্ভূক্ত এটি। এর আয়তন প্রায় ২ বর্গ কিলোমিটার। ১৪ নং ওয়ার্ডের উত্তরে মিরপুর ১০নং গোলচত্বর, দক্ষিণ-পশ্চিম কাফরুল, পূর্বে ইব্রাহিমপুর, পশ্চিমে রয়েছে পীরেরবাগ। এই এলাকায় গার্মেন্টস কারখানা, বিপণী বিতান, কলকারখানা এবং বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় এখানে রয়েছে প্রায় আড়াই লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। ভোটার সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৯ হাজার। অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে এই ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা, মশার উপদ্রব আর ময়লা আর্বজনার  দুর্গন্ধ নিয়ে বসবাস করছেন এলাকাবাসী।
বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারণে পুরো এলাকাজুড়ে সৃষ্টি
হয় ভোগান্তি। হালকা বৃষ্টিতে মিরপুর ১০ -আগারগাঁও এই সড়কে যানবাহন চলাচলও থমকে যায়। বাসা বাড়িতে ওঠে পানি। বৃষ্টির পানির সঙ্গে ডাস্টবিনের ও ড্রেনের ময়লা মিশে একাকার হয়ে যায়।

পশ্চিম শেওড়া পাড়া, আনন্দ বাজার, বর্ডার বাজার ও অলি মিয়ার টেক, ওয়াসা রোড, পশ্চিম কাজী পাড়া এলাকায় জলবদ্ধতা সৃষ্টির ফলে বিপাকে পরে অফিস-আদালতগামী মানুষ। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি চরমে। অভ্যন্তরীন এলাকায় রাস্তা সরু ও অপ্রশস্ত। রাজউকের নিয়ম না মেনে অনেক জায়গায় বহুতল ভবন গড়ে উঠেছে। এই এলাকায় সবচেয়ে বড় সঙ্কট বিশুদ্ধ খাবার পানি। রাস্তাঘাট কেটে সংস্কার ও সিটি করপোরেশনের নিয়ম না মেনে বহুতল ভবন নির্মাণের ফলে পানির সাথে আসে ময়লা। আসে দুর্গন্ধযুক্ত পানি। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য পানির পাম্প দুরে থাকলেও তাতে আগ্রহ নেই অধিকাংশ বসবাসকারীদের।
আগামী ৩০শে জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হচ্ছে সিটি করপোরেশনের নির্বাচন।  তফসিল ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়েছে প্রার্থীদের প্রস্তুতি। নির্বাচনের তারিখ নিকটবর্তী হলেও ভোটারদের মধ্যে ভোটের আমেজ নেই। প্রার্থীরা ভোটের প্রস্তুতি নিলেও ভোটারদের মধ্যে ভোট দেয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

কাজী পাড়া বাসস্ট্রান্ডের ব্যবসায়ী কাজল বলেন, এই এলাকার প্রধান সমস্যা জলবদ্ধতা। বর্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জলবদ্ধতা লেগে থাকে। এতে ব্যবসার সমস্যা সৃষ্টি হয়। আশে পাশের মানুষের বাসা বাড়িতে পানি জমে যায়। এখানে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিশুরা পানিতে কষ্ট করে স্কুলে যায়।
১৪ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন, আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া ৯৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মইজউদ্দিন, সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর ও ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সহসভাপতি হুমায়ুন রশীদ জনি, বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন কাফরুল থানা  বিএনপির সভাপতি আকতার হোসেন জিল্লু, বিএনপির বিদোহী প্রার্থী হিসেবে কাফরুল থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানউল্লাহ চৌধুরী হাসান, যুবদলের সভাপতি শরীফুল ইসলাম মিলনসহ বেশ কয়েকজন। তবে বিএনপিতে একাধিক প্রার্থী থাকলেও দলের সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী শেষ পর্যন্ত আহসানউল্লাহ চৌধরী হাসানকে সমর্থন দিয়ে প্রার্থীতা প্রত্যাহর করে নিয়েছে জিল্লু।

আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. মইজউদ্দিন বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে এই ওয়ার্ড থেকে নির্বাচন করার সুযোগ দিয়েছেন। আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হলে
আমি আমার এলাকায় শান্তি বজায় রাখার জন্য কাজ করবো। এলাকায় আগে সন্ত্রাসের রাজত্ব থাকলেও এখন নেই। এখানকার বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে চাই। মাদক র্নিমূল করবো। পথচারীদের জন্য ফুটপাতকে দখলমুক্ত করে দিবো।
স্বতন্ত্র পার্থী হুমায়ুন রশীদ জনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েছি। পাইনি। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছি। গত বছরও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে কমিশনার হয়েছি। আমি আমার এলাকায় উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করছি। গত ৫ বছরে আমার এলাকায় ৬০% রাস্তার কাজ সম্পর্ন করতে পেরেছি। ৮টি পানির পাম্প স্থাপন করছি। আগে এই ওয়ার্ডে জলবদ্ধতার কারণে সাধারন মানুষ চলাচল করতে পারতো না। এখন দু একটি স্থান ছাড়া জলবদ্ধতা দেখা যায় না। শেওড়া পাড়া যে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে তা মেট্রোরেলের কারণে। মেট্রোরেলের কাজ শেষ হলে সেই সমস্যা ও দুর হয়ে যাবে। এলাকায় এখন কোনো সন্ত্রাস ও মাদকের আস্তানা নাই।  শুধু মাত্র ভ্র্যাম্যমান হিসেবে কিছু মাদক থাকলেও আগামীতে সব নির্মূল করে দিবো। আসন্ন সিটি নির্বাচনে ভোটারা আমাকে ফের কাউন্সিলর মনোনিত করলে, অলিগলির রাস্তাগুলো প্রসস্ত করবো। খেলার মাঠ, কবরস্থানের জন্য জায়গা নির্ধারণ করার কাজ প্রায় শেষের দিকে। সেগুলোও বাস্তবায়ন করবো।

বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া আকতার হোসেন জিল্লু বলেন, আমি মনোয়ন পেয়েছি। তবে দলে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় দলের নির্দেশে আমি হাসানকে ছেড়ে দিয়েছি। হাসানের জন্য আমরা কাজ করবো।
আহসানউল্লাহ  চৌধুরী হাসান বলেন, ‘সিটি নির্বাচনের পরিবেশ ভালো থাকলে জনগণ ভোট দিতে আসতে পারে। আমি চাই সকল জনগণ ভোট কেন্দ্রে আসুক। নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর হলে জনগণ যদি ভোট দিতে পারে তাহলে জনগণ যে রায় দিবে আমি তা মেনে নিবো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর