চা বাগানের একটি গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় ইব্রাহিম মিয়া রকি (১৪) নামের ৮ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রের মৃতদেহ পুলিশ উদ্ধার করেছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে কি কারণে এই হত্যাকাণ্ড, পুলিশ ও নিহতের পরিবার সে ব্যাপারে কিছু বলতে পারছে না।
মঙ্গলবার  সকাল সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উপজেলার দক্ষিণ ভাড়াউড়ার বুড়বুড়িয়া চা বাগানের বধ্যভূমির পাশ থেকে উদ্ধার করে। পরে নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে বেলা আড়াইটার দিকে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
নিহত রকি শ্রীমঙ্গল ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল। সে এ বছর ৮ম শ্রেণির পরীক্ষায় অংশ নিয়ে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয় বলে জানান, বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক অয়ন চৌধুরী।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে ওই স্কুল ছাত্র নিখোঁজ ছিল। এ ঘটনায় রাতে মাইকিং করে তার সন্ধান চাওয়া হয় এবং থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। গতকাল সকালে চা বাগানের শ্রমিকরা কাজে গেলে একটি গাছের গোড়ায় বাঁধা অবস্থায় একটি মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
শ্রীমঙ্গল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল মালেক জানান, নিহত রকির গলা রেসকিনের কাপড় ও চাদর দিয়ে প্যাঁচানো ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান বলেন, ছেলেটিকে কি কারণে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে খুঁজতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে।
তিনি জানান, ঘটনার আলামত সংগ্রহের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর একটি বিশেষ দল ঘটনাস্থলে কাজ করছে।
শ্রীমঙ্গল থানার ওসি মো. আব্দুছ ছালেক বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ব্যাপক তদন্ত চলছে। হত্যাকারীদের চিহ্নিত করা হলেই গ্রেপ্তারের অভিযান চালানো হবে।